<p>একজন নারী প্রকৌশলীসহ তিন চীনা তরুণ নভোচারী সফলভাবে মহাকাশে পৌঁছেছেন। গত ২৯ অক্টোবর শেনঝে ১৯ মহাকাশযানের মাধ্যমে নাভোচারীত্র মহাকাশে যাত্রা শুরু করেন। চীনের গানসু প্রদেশে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেনঝো ১৯ নভোযানকে মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। </p> <p>উৎক্ষেপনের প্রায় ৬ ঘণ্টা পর চীনের তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে শেনঝো-১৯-এর দলটি।  চীনের এই নতুন মিশনে অংশ নিয়েছেনে তাং হোংবো ও ঝাং লু নামে দুই তরুণ নভোচারী। তাঁদের সঙ্গী ছিলেন প্রকাশলী ওয়াং হোজ। চীনের ইতিহাসের প্রথম নারী নারী নাভোচারী হিসাবে ইতিহাস গড়লেন ওয়ায় হোজ। তারা সেখানে গিয়ে শেনঝো-১৮ মিশনের তিনজন মহাকাশচারীর সাথে যোগ দেন। আগের তিন নভোচারী আগামী ৪ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এলিয়েনের খোঁজে সেটির নতুন কৌশল?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730102814-74d31bb61e1098f4f05b03a74738af0e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এলিয়েনের খোঁজে সেটির নতুন কৌশল?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440042" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিয়াংগং বর্তমানে সম্পূর্ণ সক্রিয় একটি মহাকাশ স্টেশন। এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জন্য নতুন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এই স্টেশনে শেনঝো-১৯-এর তিন নভোচারী প্রায় ছয় মাস অবস্থান করবেন এবং সেখানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন।</p> <p>এই মিশন চীনের মহাকাশ গবেষণার জন্য এটা বড় সাফল্য।  চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠাতে চায়। তার আগে এ ধরনের সফল মিশন নিশ্চিতকরেই তাদের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দেবে। সঙ্গে চাঁদে পা রাখতে সক্ষম নভোচারীদের প্রস্তুত করার ক্ষেত্র তৈরি করবে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্ল্যাকহোলের আলো: পর্ব ২" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730007378-3e64956dac93f7ad2e775fe5bef9b73c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্ল্যাকহোলের আলো: পর্ব ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/27/1439651" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চীনের মহাকাশ গবেষণায় এ ঘটনা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। এই মিশন নতুন প্রজন্মকেও নভোচারী হতে উৎসাহী করবে। এর মাধ্যমে চীন তার মহাকাশ গবেষণা দক্ষতাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। </p> <p>এ মিশনের লক্ষ্য ছিল তরুণ মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানো। নতুন প্রযুক্তি এবং গবেষণার মাধ্যমে তরুণরা যাতে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে, এটাই ছিল এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য। চীন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করার ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। এই মিশনে তরুণ নভোচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা চীনের নতুন উদ্যোগেরই প্রতিফলন। এই মিশনে চীন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এটি মহাকাশ গবেষণার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী প্রযুক্তিগুলো একটি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729760001-f872b4a0e2e2f55b8483f40e2e0ed8c0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শূন্য থেকে মহাবিশ্ব কি সম্ভব? কী বলেছিলেন স্টিফেন হকিং?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/24/1438664" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে শুধু গবেষণা আর প্রযুক্তির উন্নয়নই এই মিশনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। চীন বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বহুদিন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি নিজেদের উত্থানের বার্তা দিয়ে আসছে। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীন ইউরোপ-আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।</p> <p>এতদিন মহাকাশে একছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ। বিগত দশকগুলোতে মহাকাশ অভিযানের রেসে ছুটতে শুরু করেছে চীন, ভারত ও জাপান। অর্থাৎ মহাকাশে এখন প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা শুরু হয়েছে। <br /> চীন এই সফল মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নিদেজের সক্ষমতা দেখালো। আরও দেখালো, তারা মহাকাশ গবেষণায় কতটা উন্নতি করছে এবং তাদের পরিকল্পনা কত সুদূরপ্রসারী। </p> <p>সূত্র: বিবিসি</p>