<p>স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদকে এবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান। </p> <p>এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রউফকে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। </p> <p>বুধবার (২০ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। </p> <p>ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। পরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জনপ্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ রদবদলের ধারাবাহিকতায় ১৭ আগস্ট অবসরে যাওয়া পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা) চুক্তিভিত্তিতে সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। </p> <p>এক দিনের মাথায় তারা সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা পান। তাদের মধ্যে এম এ আকমল হোসেনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন পর তাকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন আবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে বদলি করা হলো তাকে। </p> <p>সূত্র বলছে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্য সেবার সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। অনেকটা প্রশাসনিক নিয়মনীতি উপেক্ষা করেই ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির হট্টগোলের ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সুপারিশ করেন তিনি। এতে প্রতিবাদ জানান ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা। </p> <p>অনেকে মনে করছেন এ কারণেই তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া এপিডি আব্দুর রউফের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ছিলেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া হাসিনা সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এ কারণে তাকে বদিল করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।</p>