<p>বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসায় যত টাকা লাগবে, সরকার তা বহন করবে। সরকারের সেই সক্ষমতা আছে।’</p> <p>রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের শুধু আশ্বাস দিলে হবে না, তাঁদের সুচিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729428811-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437199" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাদের চিকিৎসায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাদের দ্বিতীয়বার সরকারের কাছে আসতে না হয়।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসাসেবাকে রুটিন কাজ হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না।’ তিনি আহতদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।<br />  <br /> মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে আহত ব্যক্তিগণ তাদের চিকিৎসার অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেন। তারা উন্নত চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। </p> <p>সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনেও চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় কোথাও কোনো অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p>