<p>ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজার ৫৮১ জন নিহতের প্রাথমিক তালিকা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় সারা দেশে শহীদ ব্যক্তিদের এই প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তালিকা প্রণয়নের কাজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সহায়তা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য প্রদান করে তাদের সহযোগিতা করেছেন, যা এই তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।</p> <p>স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যসচিব তারেক রেজা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গঠিত এই উপকমিটি এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ব্যক্তিদের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। তালিকাটির তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এই কমিটি তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তালিকা প্রদান করবে।’</p> <p>নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবারকে ফোন দিয়ে বা সরাসরি যোগাযোগ করে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখনো হয়তো অনেক শহীদের নাম এই তালিকায় আসেনি। আমরা জেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেন প্রতিটি নাম ও তথ্যগুলো ভেরিফাই হয়ে আমাদের হাতে আসে।’</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা, আইটি টিমের ফরহাদ আলম ভূইয়া, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি ও রেড জুলাইয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।</p>