<p style="text-align:justify">প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সরকারি বিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।</p> <p style="text-align:justify">উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। করোনাভাইরাসের সময় আমাদের অনেক স্কুল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি কিছু কিছু ভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ছিল। এটা একটা কারণ ছিল।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো জায়গা আছে যেখানে মা-বাবা চাকরি করে, তাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার সময়টা প্রাইমারি স্কুলের সাথে মেলে না। ফলে তারা অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেন, যেখানে বাচ্চাদের রাখার সুযোগ রয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘এর বাইরে আরো কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের কোনো কোনো স্কুল ভালো চলে না, এমন একটা অভিযোগ আছে, এটাও একটা কারণ হয়ত। আরেকটি বিষয় হচ্ছে অনেক প্রাইভেট স্কুল আছে, যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে। ফলে এসেব কারণ মিলে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারা ঝড়ে পড়ছে আমরা জানি। কীভাবে তা রোধ করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’</p> <p style="text-align:justify">উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘এখনও আমাদের নদী ভাঙ্গনকবলিত শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো প্রকল্প নেই। নদী ভাঙ্গনে যেসব অঞ্চল পড়েছে সেসব এলাকার শিশুদের পরিসংখ্যান করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেব। নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকার শিশুরা যাতে ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষে কাজ করা হবে। যারা স্থানীয় আছেন তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির বিকল্প সমাধান হতে পারে। সেজন্য প্রস্তাব দিতে এবং সে অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিতে পারি তা দেখা হবে।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক তসলিমা জাহান প্রমুখ।</p>