<p>কোভিড মহামারির সেই ভয়াবহ সময়কাল এখনো নাড়া দেয় বিশ্ববাসীকে। পৃথিবীতে এক ভয়ংকর রূপ নিয়ে এসেছিল এই মহামারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেবে, এই মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছে ৬ লাখের বেশি মানুষ। কোটি কোটি মানুষের মতো হলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা আল পাচিনোর স্মৃতিতেও করোনার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ! করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তার স্মৃতিকথার বই ‘সনি বয়’ -এর প্রচারে সেই জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে প্রায় মারা যেতে বসেছিলেন আল পাচিনো। এমনকি মিনিটখানেক তার কোনো পালস (হৃদস্পন্দন) ছিল না। সংকটজনক সেই পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে ৮৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেন, ‘যা হয়েছিল, হঠাৎ আমার কিছু ভালো লাগছিল না। তারপর আমার জ্বর আসে এবং পানিশূন্যতা। তখন আমাকে হাইড্রেট (পানির অভাব পূরণ) করার জন্য নার্স ডেকে দিতে একজনকে পেয়েছিলাম।’</p> <p>আল পাচিনো বলেন, ‘আমি সেখানে বাড়িতে বসেছিলাম। আমার কোনো হৃদস্পন্দন ছিল না। কয়েক মিনিটের আমার লিভিং রুমে প্রায় ছয়জন প্যারামেডিক এলেন এবং সেখানে দুজন ডাক্তার ছিলেন। তাদের পোশাকগুলো দেখে মনে হয়েছিল যে তারা মহাকাশ বা অন্য কিছু থেকে এসেছেন! সবাই আমাকে ঘিরে রেখেছেন। তারা বলছিলেন, ‘তিনি ফিরেছেন। এই তো তিনি এখানে।’</p> <p>অভিনেতা বলেন, “আমি সাদা, আলো বা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। সেখানে কিছুই ছিল না। হ্যামলেট যেমন বলেছিল, ‘টু বি অর নট টু বি’; ‘অদেখা এক দেশ, যার সীমানা থেকে কোনো পথিকই ফিরতে পারে না’। এবং সে আরো দুটি শব্দ বলেছিল, ‘আর নেই’। এটা ছিল আর নেই। আপনি মরে গেছেন! আমি আমার জীবনে এই সম্পর্কে কখনো ভাবিনি। অভিনেতাদের আপনারা চেনেন, এটা শুনতে ভালো লাগে যে আমি একবার মারা গিয়েছিলাম। যখন আর কিছু নেই, তখন কী হয়?”</p> <p>সামনে আল পাচিনোকে দেখা যাবে ‘মোদি’ সিনেমায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অভিনেতা-নির্মাতা জনি ডেপ। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ফরাসি ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী আমাদেও মোদিল্লিয়ানির জীবনী অবলম্বনে। এ ছাড়া আগামী ৮ অক্টোবর প্রকাশ পেতে যাচ্ছে আল পাচিনোর স্মৃতিকথা ‘সনি বয়।’</p>