<p>নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় টিকটক বানানোর কথা বলে এক কিশোরকে মুখে স্কচটেপ  পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে দিঘির পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  </p> <p>নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫) উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ছোবু ভূঞাবাড়ির মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।</p> <p>সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘি থেকে নিহত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। </p> <p>এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দিকে তাকে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।<br />     <br /> আটক কিশোররা হলো উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজি উল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)। </p> <p>পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সঙ্গে চলাফেরা করতে বারণ করে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির আরফাতকে হত্যার কৌশল খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে আরেক বন্ধু আকিলের সঙ্গে আমির পরামর্শ করে আরাফাতকে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে টিকটিক বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বঙ্গের দিঘির পারে নিয়ে টিকটক বানানোর কথা বলে কৌশলে তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দিঘির পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে চলে যায়।</p> <p>নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের তিন দিন পর এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির আলোকে ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরদের আটক করে। এক পর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করে।</p>