<p>কিয়েভ সোমবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী দখলকৃত ক্রিমিয়ার উপদ্বীপে রাতে একটি বড় তেল টার্মিনালে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে মস্কো পূর্ব ইউক্রেনে আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে।</p> <p>সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিয়েভ রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য তিন বছর ধরে চলা মস্কোর আগ্রাসনে ব্যবহৃত রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করা। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছে, ‘রাতে সাময়িকভাবে দখলকৃত ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়ায় শত্রুর উপকূলীয় তেল টার্মিনালে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে।’</p> <p>একই সঙ্গে ক্রিমিয়ায় রুশ নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৭০ হাজার জনসংখ্যার কৃষ্ণ সাগর বন্দর শহরের একটি তেল স্থাপনায় আগুন লেগেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভ রাতভর রুশ লক্ষ্যবস্তুতে ২১টি ড্রোন নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ১২টি ক্রিমিয়ায় ভূপাতিত করা হয়েছে।</p> <p>ইউক্রেন দাবি করছে, তাদের জ্বালানি অবকাঠামোতে রুশ হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলার ন্যায্যতা রয়েছে। এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘ফিওডোসিয়া টার্মিনাল ক্রিমিয়ার সবচেয়ে বড় তেলজাত পণ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, যা রুশ দখলদার বাহিনীর চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়েছে।’</p> <p><strong>গ্রাম দখল</strong><br /> এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরভস্কের কাছে একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে। তারা এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের গ্রোডিভকা গ্রাম তারা দখল করেছে, যা পোকরভস্কের কাছাকাছি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিকস হাব।</p> <p>প্রায় দুই হাজার জনসংখ্যার এই গ্রাম দোনেৎস্ক অঞ্চলের সর্বশেষ দখলকৃত এলাকাগুলোর একটি, যেটি রুশ বাহিনী পোকরভস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় দখল করেছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের খনির শহর ভুগলেদার থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে, যা অঞ্চল দখলের দিক থেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।</p> <p><strong>ইউক্রেনে নিহত ৩</strong><br /> এ ছাড়া ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার পৃথক রুশ হামলায় হামলায় তিনজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে—পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে ৩৫ ও ৩৮ বছর বয়সী দুই ভাই এবং দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলে ৬১ বছর বয়সী এক নারী। খেরসনের গভর্নর পরে জানান, শহরে একটি রুশ হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছে এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রুশ হামলায় তিনজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।</p> <p>রুশ বাহিনী রাতভর ইউক্রেনে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ডজনখানেক ড্রোন নিক্ষেপ করেছে বলে কিয়েভের বিমানবাহিনী জানিয়েছে। রাজধানীতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং তৃতীয়টি কেন্দ্রীয় খমেলনিৎস্কি অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটির কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে। কিয়েভের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ একটি কিন্ডারগার্টেনের কাছে গিয়ে পড়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>