<p>চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি। বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমদ, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিদোয়োন সিদ্দিকী, আরিফ মঈনুদ্দিন, সাইফুর রুদ্র, পুষ্পিতা নাথ, নাফিজা সুলতানা অমিসহ অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।</p> <p>সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ব্যুরো প্রধান মুস্তাফা নঈম, অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, শাহনেওয়াজ রিটন ও ওয়াহিদ জামান।</p> <p>মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রেস ক্লাবসহ গণমাধ্যমকে ফ্যসিবাদ মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই বিষয়ে তিনি ছাত্র নেতৃত্বকে সজাগ থাকার আহবান জানান।</p> <p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমদ বলেন, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। তাদের স্থান বীর চট্টলার প্রেস ক্লাবে হবে না। </p> <p>যেসব সাংবাদিক নামধারী ফ্যাসিবাদের দোসরের ভূমিকায় ছিল তাদেরকে প্রেস ক্লাব থেকে বহিষ্কারের জন্য অন্তর্বর্তী কমিটির প্রতি দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনের নাম রাখার আহবানও জানান ছাত্র আন্দোলনের এই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।</p>