<p>বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড়ি-বাঙালি সমসংখ্যক সদস্যের দাবিতে করা একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. একরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।</p> <p>সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন বান্দরবানের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন। তিনি নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করবেন বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।</p> <p>রিট আবেদনকারী জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রতিটি পরিষদে কেন পাহাড়ি, বাঙালি সমানসংখ্যক সদস্য নিয়োগ হবে না- তার কারণ জানাতে রুল জারি করেন।  </p> <p>বিজ্ঞ আদালতের আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে : ওয়াদুদ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731386161-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে যেতে হবে : ওয়াদুদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/12/1445681" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ১ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য সমন্বয়ে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন ৩টি পরিষদই ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।</p> <p>১৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদগুলোতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে ১১ জন এবং বাঙালি জনগোষ্ঠী থেকে ৪ জন করে সদস্য নেওয়া হয়।</p> <p>গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটার দিন থেকে এই তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদে আওয়ামী সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত থাকায় সরকার নতুন পরিষদ নিয়োগ দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বান্দরবানে পর্যটন সেবা খাতে ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730962478-9bf4989c13221da464270f151d4201b2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বান্দরবানে পর্যটন সেবা খাতে ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/07/1443826" target="_blank"> </a></div> </div> <p>১৯৮৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদি পরিষদগুলোর মেয়াদ শেষে ক্ষমতাসীন সরকারের মনোনীত পরিষদ দ্বারা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও পরিবার কল্যাণসহ সরকারের ২৮টি বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে ন্যস্ত রয়েছে।</p>