<p style="text-align:justify">চট্টগ্রামে আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন ঘিরে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। চট্টগ্রামে যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার দায়ভার অবশ্যই ওই সংগঠনকে নিতে হবে। একই সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারও এ দায়ভার কোনোভাবে এড়াতে পারবে না। আদালতে আমাদের পক্ষে লড়া একজন আইনজীবীকে এভাবে জীবন দিতে হবে সেটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত আছে।’</p> <p style="text-align:justify">বাংলা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদ বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত ভালো দেখতে চায় না, এ দেশের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারা বিভিন্নভাবে কলকাঠি নাড়ছে। হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। হিন্দু ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমরা এ দেশে যত ধর্মের মানুষ আছে সবাইকে বুকে নিয়ে এক পথে চলতে চাই। ইসকন বাংলাদেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। কেউ আবেগতাড়িত হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। চট্রগ্রামে মুসলিম যে আইনজীবীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে সেটাও এক প্রকার ষড়যন্ত্র। আপনারা যদি এই ষড়যন্ত্রে পা দেন তাহলে তারা ষড়যন্ত্রকারীরা এ দেশকে অশান্ত করার সুযোগ লুফে নেবে।’ </p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, ‘দিল্লি থেকে এই দেশকে অশান্ত করার পায়তারা বারবার চলছে। আমাদের দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান মিলে যে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। সেই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এ দেশের কিছু উগ্রবাদী সংগঠন। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি এই উগ্রবাদী সংগঠনের নেতা যাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে চান।’</p> <p style="text-align:justify">আনজুম বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশে যে পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করে এরকম উগ্রবাদী সংগঠনকে চাই না। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সরকার যে উগ্রবাদী সংগঠনের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সেই উগ্রবাদী সংগঠনের লোকজন আমাদের এক আইনজীবী ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই যারা বাংলাদেশকে অশান্ত করতে চায় সেইসব উগ্রবাদী সংগঠনের ব্যাপারে আপনারা অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিন। সব উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করুন। আমরা সরকারকে বলতে চাই যারা বারবার বিভিন্ন পরিচয়ে, বিভিন্ন ব্যানারে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, করার চেষ্টা করছে তাদেরকে অতিদ্রুত চিহ্নিত করুন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’</p>