<p>বগুড়ায় মাটি-চুন, সিমেন্ট দিয়ে সার ও কীটনাশক তৈরির সময় হাতে-নাতে দুই শ্রমিককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সমন্বয়ে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।</p> <p>শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় বগুড়া শহরতলীর গোদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ বস্তা টিএসপি সার, ২২ বস্তা জিংক ক্রোজিং ছাড়াও চমক বোরন, এবি ফুরানসহ নানা প্রকার সার- কীটনাশক এবং এসব পণ্য তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সন্তান থেকেও তাদের ঠাঁই বৃদ্ধাশ্রমে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731843833-9eeb0eb27895e951ea3063318631c3b2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সন্তান থেকেও তাদের ঠাঁই বৃদ্ধাশ্রমে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/17/1447666" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অভিযান সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাটি-চুন, সিমেন্টের মতো পদার্থ দিয়ে তৈরি এসব সার ও কীটনাশক অন্তত ১৭টি ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করে আসছিলো বেনামী এই প্রতিষ্ঠান। প্রস্তুতকৃত ভেজাল পণ্য ছাড়াও ৩০০ বস্তারও বেশি মাটি, সিমেন্ট, চুনসহ বিভিন্ন কাঁচামাল এবং ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরির নানা প্রকার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় মালিক পক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকলেও সার তৈরির সময় দুই শ্রমিককে আটক করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজপত্র কিংবা সাইনবোর্ডও নেই।</p> <p>বগুড়া জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মনছুর রহমান বলেন, ‘এখানে যে উপকরণগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো হচ্ছে মাটি, চুন ও সিমেন্ট। এখানে ফসলের উপকারী কোনো উপকরণ এখানে নেই। নকল সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’</p> <p>বগুড়া জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, ‘অভিযান শেষে নকল সার ও কীটনাশক কারখানাটি সিলগালা করা হয়। কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভেজালবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।’</p>