<p>লেবাননের সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ রবিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। মধ্য বৈরুতে সিরীয় বাহাত পার্টির লেবানিজ শাখার একটি ভবনকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>নাম না প্রকাশের শর্তে লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্রটি বলেছে, ‘রাস আল-নাবা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ মিডিয়া সম্পর্কীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আফিফ নিহত হয়েছেন।’</p> <p>এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, লেবানিজ বাহাত পার্টির মহাসচিব আলি হিজাজি ‘হিজবুল্লাহর মিডিয়া কর্মকর্তা’ আফিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‘শত্রু বিমানের’ হামলায় ‘ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে এবং রাস আল-নাবায় অনেক মানুষ ‘ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে’। এই এলাকার কাছে ফরাসি দূতাবাস ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।</p> <p>লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। তবে হতাহতের এ সংখ্যা প্রাথমিক ও হামলাস্থল থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ এখনো চলমান।</p> <p>এএফপি জানিয়েছে, আফিফ বহু বছর ধরে হিজবুল্লাহর মিডিয়া সম্পর্কের দায়িত্বে ছিলেন এবং আড়ালে থেকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহ করতেন। আফিফ অল্প বয়সে হিজবুল্লাহতে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে যখন তার গোষ্ঠী ও ইসরায়েল যুদ্ধে নামে, তখন হিজবুল্লাহর টেলিভিশন চ্যানেল আল-মানারের তথ্য পরিচালক হিসেবে প্রথম পরিচিতি পান। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে দীর্ঘদিনের হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর হত্যার পর আফিফ বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।</p> <p>একটি অনুষ্ঠানে গত মাসে আফিফ ঘোষণা করেছিলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কাছাকাছি একটি ভবনে হামলা করার হুমকি দেয়।</p> <p>এর আগে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাদের মধ্যে শুধু নাসরাল্লাহ নন, সাবেক এ প্রধানের উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত হাশেম সাফিয়েদ্দিনও অন্তর্ভুক্ত।</p>