<p>ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে ভোলার পাঁচটি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।</p> <p>বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, হাতিয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা ও চরফ্যাশনের বেতুয়া-মনপুরা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। গঠন করা হয়েছে আটাট কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। এ ছাড়া জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।</p> <p>তিনি আরো জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে মজুদ রয়েছে ৫৮৪ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ রয়েছে ৯ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।</p>