<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার সদর উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝে জেগে ওঠা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার চর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। চরটি উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এই চরে ৩০০ থেকে ৪০০ কৃষক চাষাবাদ ও গরু-মহিষ পালন করেন। এই কৃষকরাই চরের রেকর্ড ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক। কিন্তু চরে রাসেল খাঁ বাহিনীকে চাঁদা দেওয়া ছাড়া কেউই চাষাবাদ করতে পারে না। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নেমে আসে ভয়াবহ অত্যাচার। ঘটে খুন ও গুমের মতো ঘটনা। গত প্রায় দুই দশকে এই চরে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে মামলা হলেও আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে। তখন অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ। এই ডাকাত বাহিনীর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সদস্য জসিম রাড়ী, মিন্টু খাঁ ও হালিম খাঁসহ ১৪-১৫ জন। এদের প্রধান হলেন রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহমুদুল হক রাসেল খাঁ। রাসেল বাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে ওই চরের পাঁচ শতাধিক ভুক্তভোগী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। পরে তারা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীরা জানান, ভোলার চরে ৫০০ কানিরও বেশি জমি রয়েছে। এটি চরপাতা, কোড়ালিয়া, নোয়াখালী, গণেশপুর, হাজীপুর, মজিদপুর, চর খাটাইয়া ও উদয়পুর মৌজা। এ জমির রেকর্ড ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক ভোলার রাজাপুর ইউনিয়ন ও লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দারা। কিন্তু সাধারণ কৃষক তাদের আবাদি ফসল কাটতে গেলে রাসেল বাহিনী বাধা দেয়। রাসেল বাহিনীর ভয়ে সাধারণ কৃষক চরে যেতে পারছেন না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইয়াছিন মাতাব্বর জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে চরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় রাসেল বাহিনীর সদস্যরা তাঁর ভাই শেখ ফরিদ ও রাকিব সরদার নামের দুজনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। সেই লাশ দুটির আজও খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় ভোলা সদর থানা ও লক্ষ্মীপুর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় রাসেলসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে পুনরায় চরের সাধারণ কৃষক ও জেলেদের ওপর অত্যাচার করে। রাসেল খাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোলা ও লক্ষ্মীপুরে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ ২০-২৫টি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি ৭ অক্টোবর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভোলার চরের রাসেল বাহিনীর আস্তানা থেকে দুই সক্রিয় ডাকাত সদস্য মোফাজ্জল ও আব্দুল বাতেনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, স্থানীয়দের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ভোলার চরের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p>