<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগার পর এবার কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় বহির্নোঙরে এলপিজিবাহী (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোফিয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি লাইটারেজে (ছোট জাহাজ) অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোফিয়ায় আগুন লাগার পরপরই বঙ্গোপসাগরে এটির পাশে থাকা মাদার ট্যাংকার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাপ্টেন নিকোলাসে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আগুন ধরে যায়। তবে মাদার ট্যাংকারটির আগুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেভানো সম্ভব হলেও সোফিয়ার আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ, মাদার ভেসেলের (বড় জাহাজ) নিজস্ব টাগবোট এবং নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যদের। এ ঘটনায় দুই জাহাজ থেকে জীবিত ৩১ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙরের কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা সোফিয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্যাপ্টেন নিকোলাস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের মাদার ভেসেল থেকে শিপ টু শিপ পদ্ধতিতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলপিজি সোফিয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জাহাজে এলপিজি স্থানান্তরের সময় এই আগুনের সূত্রপাত। ক্যাপ্টেন নিকোলাস জাহাজটি গত ৬ অক্টোবর ওমান থেকে এলপিজি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীন কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করে। এ সময় জাহাজটিতে ৪২ হাজার ৯৭৫ টন এলপিজি ছিল। এসব এলপিজি লাইটার জাহাজে করে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে নিয়ে আসার কাজ চলছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে দুই জাহাজে ১৮ জন ক্রু, দুজন মুরিং ম্যান, তিনজন প্রহরী এবং মাদার ভেসেল থেকে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া আটজন বন্দর নিরাপত্তারক্ষীসহ মোট ৩১ জন ছিল। সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, আটজন ইন্দোনেশীয় এবং একজন ভারতীয়। নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁদের একটি আবাসিক হোটেলে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন জহিরুল হক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগুনে মাদার ভেসেলের সঙ্গে লাইটার জাহাজকে বেঁধে রাখা দড়িটি ছিঁড়ে যায় এবং লাইটার জাহাজটি ভাসতে ভাসতে দূরে চলে যায়। গ্যাসভর্তি থাকায় লাইটার জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা দুই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তাঁরা এখন চট্টগ্রামে আছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, কোনো হতাহত ছাড়াই দুই জাহাজের আগুন নেভানো গেছে। লাইটার জাহাজ সোফিয়া ও মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাসে ক্রু, নাবিকসহ ৩১ জন ছিলেন। সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, দুটি গোয়েন্দা সংস্থা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। তদন্ত কমিটিকে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন, এলপিজি পরিবহনে জাহাজ ও জাহাজগুলোর নাবিকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, পরিবাহিত এলপিজির পরিবহন ও উপযুক্ততা নিরূপণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ফলে সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নিরূপণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন জাহাজ এমটি বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছিল। এর কয়েক দিন পর ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে এমটি বাংলার সৌরভ নামে বিএসসির আরেকটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয়।</span></span></span></span></p>