<p>লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, আমি আর নির্বাচন করব না। কোনো আসনেই করব না। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। কারণ সময় থাকতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা ভালো। আজ আমি আমার বড় ছেলেকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। গত ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। আমার ছেলে আমি আপনাদের জন্য তৈরি করেছি। এখন আপনাদের চিন্তা হচ্ছে- আমার পরবর্তীতে আপনাদেরকে ছায়া কে দেবে? আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদেরকে ছায়া দেওয়ার জন্য আমার ছেলেকে পাবেন। এটা চিন্তা করেই তাকে তৈরি করেছি। ইনশআল্লাহ সে আপনাদের খেদমত করতে পারবে। আমি যথদিন বেঁচে আছি, ততদিন আমি নিজেও আপনাদের খেতমত করে যাব। তিনি গত শনিবার রাতে সাতকানিয়ার ধর্মপুর বনিক পাড়া দুর্গা ও রাস মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন। ওইদিন রাতে তিনি সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া, বাজালিয়া, পুরানগড়, ধর্মপুর ও কালিয়াইশ এলাকায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে তিনি তাঁর ছেলে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও উপস্থিত লোকজনের কাছে তাঁর ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবে কিনা জানতে চান। তখন সবাই হাত উঁচিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন।</p> <p>কর্নেল (অব.) অলি আহমদ আরো বলেন, আমি বেঁচে থাকতে আমার ছেলে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের ভুল করলে আপনারা ধরবেন। আমি ঠিক করে দেব। আমি মরে গেলে সে ভুল করলে কে খেয়াল করবে? কে ঠিক করে দেবে?</p> <p>তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫ বছর আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। কারণ আমি এলাকায় আসলে যারা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত, তাদেরকে তৎকালীন সৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার  করে কারাগারে প্রেরণ করত। এলাকায় এসে আমি নেতাকর্মীদেরকে বিপদে ফেলতে চাইনি। </p> <p>অলি আহমদ আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে ছিল। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায়। </p> <p>তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি। স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য সর্বপ্রথম আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমি তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করেছিলাম। এসব প্রমাণ আমার কাছে এখনো আছে। </p> <p>পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এজিএম শাহজাহান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সাতকানিয়া উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভা এলডিপির সভাপতি আইনুল কবির ও উত্তর সাতকানিয়া এলডিপির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ ভূট্টো, এলডিপি নেতা রাশেদ হোসেন সিকদার দুলু, নুরুন্নবী, দেলোয়ার হোসেন দেলু, জসীম উদ্দিন, উত্তর সাতকানিয়া গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আনিসুর রহমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাব্বার মানিক ও রিয়াদ কামাল প্রমুখ।</p>