<p>ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মনোহরপুর এম এ সাকুর মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তার অপসারণের দাবিতে বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কালের কণ্ঠকে বলেন, আমাদের কলেজের প্রভাষক ফরহাদ  মাদক সেবন করেন। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কলেজে এসে ছাত্রীদের দিকে 'কুনজরে' তাকান এবং অনেককে ডেকে গান গাইতে বাধ্য করেন। তিনি ক্লাসে পড়ানো বাদ দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ করেন। তা ছাড়া তিনি ধর্ম নিয়েও বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। আমরা এই চরিত্রহীন শিক্ষককে কলেজ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাকে যদি অপসারণ করা না হয়, তাহলে আমরা আর কলেজে যাবো না।</p> <p>অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রভাষক ফরহাদ শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। এমনকি অধ্যক্ষের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। গত এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন পাশের সালথা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করেন। এর আগে আমাদের কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকেও কলেজ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।</p> <p>ওই কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয় দত্ত কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। তবে প্রভাষক ফরহাদ আমার সাথে খুবই বাজে আচরণ করেছেন। আমার পোশাক নিয়ে কথা বলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে কলেজের পিকনিক নিয়ে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আমাকে নানাভাবে অপমান করে যাচ্ছেন। </p> <p>এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রভাষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ছাত্রীরা আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই। সামাজিকভাবে আমার সম্মানহানি ও হয়রানি করার জন্য তারা এই নাটক সাজিয়েছে। তদন্ত করলে সঠিকটা বেরিয়ে আসবে।  </p> <p>নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাফি বিন কবির বলেন, এম এ সাকুর মহিলা কলেজের প্রভাষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও ঈদে মিলাদুন্নবী পালন নিয়ে হিন্দু-মুসলিম ছাত্রীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির গুরুতর মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করবো। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  </p>