<p>সবকিছুর দাম বাড়ছে। পৃথিবীতে জিনিসের দাম শুধু বাড়বে, কমবে না। তবে একটা জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত কমে চলেছে। শুধু যে কমছে, তাই নয়। প্রায় প্রতি দুই বছর পরপর এর দাম অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। জিনিসটা খুব ছোট। বর্তমানে এর ক্ষেত্রফল প্রায় ০.০০৪৫ বর্গ মাইক্রন। হিসেবে আপনার চুলের গোড়ায় এই জিনিস প্রায় ১০ লক্ষ পরিমাণে রাখা যাবে। তা হলো ট্রানজিস্টর।</p> <p>ডিজিটাল ডিভাইস বলতেই এক ঝাঁক ট্রানজিস্টরের একটা নেটওয়ার্ক বোঝায়। পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করেননি। এমনকি গড়ে প্রতিটি মানুষের কাছে আট বিলিয়ন করে ট্রানজিস্টর আছে।</p> <p>ট্রানজিস্টর খুব জটিল কিছু নয়। কেবল একটা সুইচ। যার কাজ চালু ও বন্ধ হওয়া। তবে বাসাবাড়ির সুইচের মতো নয়, যেটা আঙুলের চাপেই চালু বা বন্ধ করা যায়। এই সুইচ কাজ করে কোয়ান্টাম স্কেলে।</p> <p>ট্রানজিস্টর তৈরি হয় অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে। অর্ধপরিবাহী কখনও বিদ্যুৎ পরিবহণ করে, কখনও করে না। মজাটা এখানেই। এভাবে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।</p> <p>সিলিকন একটি সেমিকন্ডাক্টর। যার শেষ শক্তিস্তরে চারটি ইলেকট্রন থাকে। ফলে সিলিকন তার আশেপাশে থাকা আরও চারটি সিলিকন পরমাণুর সাথে সমযোজী বন্ধনে যুক্ত থাকে। এই অবস্থায় এদের ওপর কম ভোল্টেজের বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে এরা কোনো বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। অপরিবাহীর মতো আচরণ করে। বিদ্যুতের ভোল্টেজ বাড়িয়ে দিলে এরাই হয়ে যায় সুপরিবাহী।</p> <p>আবার এদের ভেতর গুপ্তচর ঢুকিয়ে দিয়েও এদের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই পদ্ধতিকে বলে ডোপিং। ফসফরাস, বোরন, গ্যালিয়াম পরমাণুগুলো গুপ্তচর হিসেবে ভালো।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732004107-a55c702e695630f5ec3a40d1266280bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448320" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটা কম্পিউটার কতটুকু শক্তিশালী হবে, তা নির্ভর করে ট্রানজিস্টরের সংখ্যার ওপর। কম্পিউটারের মস্তিষ্ক হলো মাইক্রোপ্রসেসর। আর স্নায়ুকোষ ট্রানজিস্টর। সময়ের সাথে আকারে ছোট হচ্ছে এই প্রযুক্তি। এতই ছোট যে, হাতের স্মার্টফোনের ভেতর ৮০০-১০০০ কোটি ট্রানজিস্টর ঢোকানো সম্ভব হয়েছে। তবে একটা মাত্রার পর ট্রানজিস্টরের আকার ছোট করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। তার কারণ কোয়ান্টাম টানেলিং।</p> <p>ট্রানজিস্টর, এক কথায় ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটারের প্রাণভ্রমরা। অর্ধপরিবাহী পদার্থের বিশেষ পারমাণবিক বৈশিষ্ট্যই ট্রানজিস্টর তৈরির মূল ভিত্তি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লেজার রশ্মি যেভাবে কাজ করে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731998907-667906b9ae742461c3cb43cbc318b402.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লেজার রশ্মি যেভাবে কাজ করে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448300" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শুরুর দিকে ট্রানজিস্টরগুলো জার্মেনিয়াম অণু থেকে তৈরি হতো। ১৯৬০ সালে সেগুলোর দাম ছিল কয়েক ডলার। আকার ছিল প্রায় ১২ মিলিমিটার। বর্তমানে ট্রানজিস্টর তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সিলিকন অণু। এই ট্রানজিস্টরগুলো আকারে এতই ছোট যে প্রায় ২০০ কোটি ট্রানজিস্টর একটি মাইক্রোপ্রসেসর চিপে রাখা যায়।</p> <p>একেকটি ট্রানজিস্টরের দাম এখন ০.০০০১ সেন্ট। বাংলাদেশি টাকায় ১ পয়সারও কম। এই দাম কমে যাওয়াটাই মুরের সূত্রের প্রমাণ। মুরের সূত্র অনুয়ায়ী, প্রতি আঠার মাসে মাইক্রো চিপগুলোতে ট্রানজিস্টরের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে থাকবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731829417-c2a15ba3076e30820b84324cb9754ce5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447600" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> লেজার<br /> কোয়ান্টাম ডট</p> <p>জীবনী<br /> <strong>ওয়াল্টার ব্রাটেইন, জন বারডিন এবং উইলিয়াম শকলি</strong><br /> ১৯০২-১৯৮৭, ১৯৮-১৯৯১ এবং ১৯১০-১৯৮৯<br /> মার্কিন তিন পদার্থবিদ, ১৯৪৭ সালে বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরিতে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন, যার জন্য ১৯৫৬ সালে তারা যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ফিলিপ বল<br />  </p>