<p>শীতকালে বায়ুদূষণ বাড়ে—রাস্তায় বেরুলেই এর প্রমাণ মেলে। </p> <p>কিন্তু এর পেছনের কারণগুলো কী?</p> <p>শীতকালে তাপমাত্রা কমে যায় এবং মাটি বা ভূ-পৃষ্ঠ ঠান্ডা হয়ে থাকে। এই সময়, দিনের বেলায় সূর্যের তাপ ওপরের বাতাসকে তুলনামূলকভাবে গরম করে তোলে। ফলে ওপরের গরম বাতাস নিচের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মেশে যায় না। একে বলে টেমপ্রেচার ইনভার্সন বা তাপমাত্রা বিপর্যয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতকালে এত শাক-সবজি পাওয়া যায় কেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732018803-4c82f0f50d174fcded6299a64c11784b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতকালে এত শাক-সবজি পাওয়া যায় কেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448395" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই অবস্থায় দূষিত গ্যাস এবং ধোঁয়া মাটির কাছাকাছি আটকে থাকে। কারণ ঠান্ড বাতাস তুলনামূল বেশি ঘন হয়। ওপরের গরম বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রানুযাীয় যে গ্যাসের ঘনত্ব যত বেশি সেটা তত নিচে থাকে। </p> <p>ধুলাবালির সঙ্গে যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোয়া মিশে বাতাসের দূষণ আরও বাড়িয়ে দেয়। <br /> শীতকালে বাতাসের গতি কমে যায়। বিশেষ রাতের দিকে। ফলে বাতাসে থাকা দূষিত পদার্থগুলো বায়ুমণ্ডলের কাছাকাছি জমা হয়ে থাকে। ফলে দুষণ সরাসরি আমাদের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে কেন? করণীয় কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732002498-4b8e1fd9dc1f405851f62e9a9eab230f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে কেন? করণীয় কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448312" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শীতের শুষ্ক পরিবেশে ধুলাবালি বাতাসে বেশি ভেসে বেড়ায়। অবকাঠোমো নির্মাণযজ্ঞ থেকে বেরুনো ধুলাবালি, যানবাহনের ধোঁয়া এবং শিল্প কারখানার বর্জ্য মিলে এই দূষণ আরও বাড়িয়ে দেয়।</p> <p>শীতকালে কুয়াশার কারণে দূষিত কণা বাতাসে বেশি সময় ধরে মিশে থাকে। কুয়াশা নিজেও বায়ুদূষণের ক্ষতিকর কণাকে ধারণ করে বাতাসকে ভারী করে তোলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতকালে সাপের উপদ্রব কমে যায় কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732006938-5bfe7e43d59ee5c30de376606f06e499.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতকালে সাপের উপদ্রব কমে যায় কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448327" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শীতকালের এই বায়ুদূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং হৃদরোগের মতো সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং অসুস্থদের শরীরে এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।</p> <p>সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস<br />  </p>