<p style="text-align:justify">সকালের বাধ্যতামূলক মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকায় ৯৯ কর্মীকে চাকরীচ্যুত করেছে মার্কিন এক প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে এমন কর্মীও ছিলেন যিনি সেদিনই প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েছিলেন। চাকরীচ্যুত ওই ইন্টার্ন কর্মী ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে শেয়ার করলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়। ওই কর্মীর দাবি, চাকরিতে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করা মার্কিন ওই প্রতিষ্ঠান দ্য মিউজিশিয়ানস ক্লাব এর সিইও বাল্ডভিন ওডসন। কোম্পানিটিতে মোট ১১০ জন কর্মী কাজ করেন। ঘটনার দিন সকালের বাধ্যতামূলক মিটিংয়ে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকায় বাকি ৯৯ জনকেই চাকরীচ্যুত করেন তিনি। </p> <p style="text-align:justify">চাকরিচ্যুতির বার্তায় সিইও বাল্ডভিন লিখেছেন, আপনাদের মধ্যে যারা আজ সকালে মিটিংয়ে উপস্থিত হননি, এটি তাদের জন্য অফিশিয়াল বার্তা : আপনাদের চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। আপনাদের যে কাজ করার কথা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, চাকরির চুক্তিতে যে কাজ করতে আপনারা সম্মত হয়েছিলেন সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যে মিটিংয়ে আপনাদের উপস্থিত থাকার কথা এবং কাজ করার কথা, সেটা করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আর লিখেছেন, উন্নতি করার জন্য আমি আপনাদের একটি ভালো সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেননি। আজ সকালে ১১০ জনের মাত্র ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। সেই ১১ জনই থাকবে। বাকিরা আমার ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যান!</p> <p style="text-align:justify">সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনা প্রকাশের পরপরই পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ সিইও ওডসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও অনেকেই তার নেতৃত্বের ধরণের তীব্র সমালোচনা করেন। </p> <p style="text-align:justify">একজন লিখেছেন, আমার ধারণা সিইও মিটিংয়ের ব্যাপারে তার কর্মীদের আগে থেকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমার মনে হয় না, তারা যদি মিটিংয়ের বিষয়ে জানতো তবে ৯৯ জন অনুপস্থিত থাকত। অন্য একজন লিখেছেন, তিনি ইলন মাস্কের থেকে শিক্ষা নিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">অপর এক ব্যক্তি লিখেছেন, আমার ধারণা ওই ৯৯ জনই আসলে কাজ করছিলেন, তাই সিইওর সঙ্গে ফালতু মিটিংয়ের সময় ছিল না। </p>