<p style="text-align:justify">পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন। </p> <p style="text-align:justify">বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান। এই মামলায় বাকি ৪ আসামি জামিনে আছেন। আর বাকি একজন পলাতক রয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে তিন মাসের জামিনে ছিলেন। সুব্রত কুমার সর্বশেষ রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। </p> <p style="text-align:justify">দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ওই বছর ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। </p> <p style="text-align:justify">পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন পুলিশে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবকে টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে আসামি করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">পরে চলতি বছরের ১১ জুলাই সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত না থাকায় হায়দার ফরাজী নামে এক আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।</p>