<p>কক্সবাজারের পেকুয়ার শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ (৪৮) দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করেছে। এর পর শিক্ষক আরিফেরই মোবাইল নাম্বার থেকে দুর্বৃত্তরা পরিবারের কাছে কয়েক দফা ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। এর পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আরিফের মোবাইল। এই ঘটনায় গত রবিবার তাঁর স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার পেকুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।</p> <p>নিখোঁজ শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বাড়ি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়ায়।</p> <p>পরিবার সূত্র জানায়, নিখোঁজ আরিফের ভাই রিয়াদের মোবাইলে গতকাল রবিবার সকালে ফোন করেন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় ২৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দফায় চাওয়া হয় ৩৫ লাখ এবং সর্বশেষ ৪০ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে মুক্তিপণের অংক। </p> <p>শিক্ষক আরিফের ভাই রিয়াদ জানান, অপহৃত ভাই আরিফের হাতে থাকা মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের কাছে কল দেওয়া হয়। এ সময় ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়, আরিফকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে যদি জীবিত ফেরত পেতে হয় তাহলে মুক্তিপণ দিতে হবে।</p> <p>মোহাম্মদ আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ ইসলাম বলেন, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে পেকুয়া সদরের চৌমুহনী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তার ভাই। এর পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p>রিয়াদ বলেন, ‘আমার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত অপহরণকারীরা তিন দফায় মুক্তিপণ চায়। প্রথমে ২৫ লাখ, এর পর ৩৫ লাখ ও সর্বশেষ ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় রয়েছে এবং সেখানে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্যও বলা হয়।’</p> <p>শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার স্বামীর এই পরিস্থিতিতে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমার স্বামীকে ফেরত চাই। এজন্য সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’</p> <p>পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘শিক্ষক আরিফ নিখোঁজ থাকা পরবর্তী অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত কর্তৃক মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষককে উদ্ধারে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে রয়েছে।’</p>