<p style="text-align:justify">সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারকের অসদাচরণ সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত করছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে জনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ‘নিউজ আপডেট’ স্ক্রলে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। ‘জুডিশিয়াল কাউন্সিল আপডেট’ উল্লেখ করে স্ক্রলে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান বেশ কয়েকজন বিচারকের আচরণ সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৩৪ বছর আগে হারানো চাকরি ফিরে পেতে চান আলী হোসেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733302915-8273e4c739daca6deffbbee34128c8cf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৩৪ বছর আগে হারানো চাকরি ফিরে পেতে চান আলী হোসেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/04/1453761" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারক বিচারকাজের বাইরে আছেন। গত ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান ও বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। <br /> পরে এই বিচারকরা ছুটির আবেদন করলে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর পর‌্যন্ত তাঁদের ছুটি রয়েছে। এই ১২ বিচারক হলেন- বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিযোগ, এই বিচারকরা পতিত শেখ হাসিনা সরকারের দোসর। আদালতকে ব্যবহার করে তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ সংগঠনটির।</p> <p style="text-align:justify">এসব বিচারকরা ছুটিতে থাকার মধ্যে গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। ‘তিন বিচারপতির অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’ তথ্য দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। প্রতিবেদন ‘মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ওইদিন রাতেই বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে শুষ্ক পায়ের ত্বক কোমল করুন ঘরোয়া উপায়ে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733302565-0dd43ab953d09236984cec731f466142.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে শুষ্ক পায়ের ত্বক কোমল করুন ঘরোয়া উপায়ে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/04/1453760" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হলেও এবং কাউন্সিলে কয়েকজন বিচারপতির তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান থাকলেও এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কোনো বিচারপতি সম্পর্কে অভিযোগ পাঠানো হয়নি। সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল কর্তৃক সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন।’</p> <p style="text-align:justify">এরপর গত ১৯ নভেম্বর অসদাচরণের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক। তাঁরা হলেন- সালমা মাসুদ চৌধুরী, কাজী রেজা-উল হক এবং এ কে এম জহিরুল হক। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আগে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট অসদাচরণের অভিযোগে বিচারকাজ থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন তাাঁরা। এর মূল কারণ ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের</p> <p style="text-align:justify">সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত ও অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে গত ২০ অক্টোবর রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। সাত বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পরে এ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করতে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করে রায় দেন। এ রায়ের ফলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফেরে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টেস্ট দলে ফিরলেন বাবর, বাদ ইংল্যান্ড বধের নায়ক সাজিদ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733301637-0855328b31755ac39baf1b6cc17e0ce5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টেস্ট দলে ফিরলেন বাবর, বাদ ইংল্যান্ড বধের নায়ক সাজিদ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/12/04/1453756" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে।</p> <p style="text-align:justify">২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনী এনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান সংবিধান থেকে বাদ দেয়। ক্ষমতা দেওয়া হয় সংসদকে। ওই বছর ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয় সংশোধনীর গেজেট।</p> <p style="text-align:justify">এই সংশোধনী বাতিল হওয়ায় সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয়টি উপ-অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল হয়। যার ৩ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হবে প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারককে নিয়ে। কাউন্সিলের কোনও সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন, অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কাজে অসমর্থ হন অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধেই যদি তদন্ত চলে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।</p> <p style="text-align:justify">কাউন্সিলের দায়িত্ব সম্পর্কে ৪ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, বিচারকদের জন্য পালনীয় একটি আচরণবিধি কাউন্সিল নির্ধারণ করে দেবে এবং একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে তদন্ত করবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733300244-28e0c523bac212405ac8f7cdc49ab2ec.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/04/1453752" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">৫ নম্বর উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কাউন্সিল অথবা অন্য কোনো সূত্র থেকে রাষ্ট্রপতি যদি জানতে পারেন যে, কোনো বিচারক শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন বা তার বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি তদন্ত করে ফলাফল জানানোর নির্দেশ দিতে পারেন।</p> <p style="text-align:justify">তদন্ত করার পর কাউন্সিল যদি সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বা তার অসমর্থ্যতার প্রমাণ পায় এবং বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে জানায়, তাহলে ৬ নম্বর দফা অনুসারে রাষ্ট্রপতি ওই বিচারককে অপসারণের আদেশ দেবেন। আর ৭ উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, তদন্তের ক্ষেত্রে কাউন্সিলই নিজের কর্মপদ্ধতি ঠিক করবে এবং সুপ্রিম কোর্টের মত ক্ষমতা ধারণ করবে।</p>