<p>রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার জান্নাতুল ফেরদৌস হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিন দিন, যাত্রাবাড়ী থানার সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের দুই দিন ও পৃথক দুই হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে লালবাগ থানার মামলায় চার দিন ও চকবাজার থানার হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ ১৮ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।</p> <p>এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন আনিসুল হক। এ সময় তাকে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়। তবে হাসিমুখে ছিলেন দীপু মনি। তাকে সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।</p> <p>এরপর পৃথক দুই মামলায় আনিসুল ও ফিরোজের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।</p> <p>অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর আসামি সোলাইমানের দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।</p> <p>এরপর তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বিশ্বাস রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুই মামলায় মোট সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।</p> <p>এদিকে রিমান্ড শুনানিতে আদালতে ন্যায়বিচার চেয়ে আ স ম ফিরোজ বলেন, যাহা বলিব সত্য বলিব। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময় থেকে আমি এমপি ছিলাম। এরশাদের আমলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।</p> <p>৫ তারিখে আমার নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম। সেখানকার ডিসি, এসপিদের সঙ্গে ফুটবল টুর্নামেন্টে ছিলাম। আল্লাহর পর আপনি যদি হাকিম হন, তাহলে আপনি ন্যায়বিচার করবেন। এ মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। রাজনৈতিক কারণে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাদী আদালতে এসে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় আমার নাম থাকার ব্যাপারে বাদী কিছু জানেন না।</p> <p>নতুন মামলায় গ্রেপ্তার হলেন যারা : সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি সভাপতি শাহরিয়ার কবির, এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও লালবাগ জোনের ডিবি পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায়, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায়, বংশাল থানার এক মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে আদাবর থানার এক মামলায়, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমকে কোতোয়ালি থানার এক মামলায়, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার দুই ও শাহবাগ থানার এক মামলায়, সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে যাত্রাবাড়ী, চকবাজার ও বংশাল থানার একটি করে তিন মামলায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ, বংশাল থানার দুই ও কোতোয়ালি থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।</p> <p>এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।</p> <p> </p> <p> </p>