<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক একর জমিতে সবজি বা বিষেশায়িত কোনো কৃষিপণ্য আবাদে বালাইনাশক বা পানি স্প্রে করতে ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। আর সময় লাগে এক থেকে তিন ঘণ্টা। সেখানে স্প্রের কাজটি ড্রোনের মাধ্যমে করলে মাত্র ১৫-২০ লিটার পানির প্রয়োজন হবে। সময় লাগবে মাত্র ১০-১৫ মিনিট। ফলে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই কৃষিকাজ করতে পারলে অল্প সময়ে, অল্প খরচে অনেক বেশি জমিতে কৃষি উপকরণের বিশেষ করে সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করা সম্ভব। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জমি চাষের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা, ফসল পর্যবেক্ষণ, আগাছা, কীটপতঙ্গ এবং রোগের হাত থেকে ফসলের সুরক্ষা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষিজ উপকরণগুলোর ডাটা সংগ্রহ ও প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ড্রোন ব্যবহার করছে। উন্নত প্রযুক্তি হিসেবে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারত ও ফিলিপিনস ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে। ভারতে এর আগে ড্রোনের ব্যবহার শুধু প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। কৃষকদের ড্রোন কেনার জন্য ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কৃষকদের ৫০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কৃষিতে ড্রোন ব্যবহার করার পর চীনের কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ১৭ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে ড্রোন ব্যবহার : বাংলাদেশে কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার করতে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানে ড্রোনের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কর্মশালার মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে ড্রোনের ব্যবহার করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আনতে হবে। বিশেষ করে ড্রোন আমদানিনীতি সহজ করা প্রয়োজন। ড্রোনের ব্যবহার শুরু করতে আইনি কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। কেননা দেশে এখন কৃষি শ্রমিক সংকট তীব্র হচ্ছে। কৃষকরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করছেন। এর ফলে কৃষকের যেমন খরচ বাড়ছে, তেমনি সরকারের সার খাতে ভর্তুকি বেশি দিতে হচ্ছে।</span></span></span></span></p>