<p style="text-align:justify">স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মিস. জাহানারা বেগমের সাথে সাক্ষাৎ করে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে দলের সুপারিশমালা তুলে ধরেছেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। সাক্ষাৎকালে তারা ১৩ টি সুপারিশসহ স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p style="text-align:justify">এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর আব্দুল ওহাব মিনার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, দলের স্বাস্থ্যসেবা নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ডা. সোনিয়া জেমিন প্রীতি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না হওয়ার কারণ জানালেন হাইকমিশনার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729425362-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না হওয়ার কারণ জানালেন হাইকমিশনার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437180" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবি পার্টির উত্থাপিত সুপারিশগুলো গ্রহণ করেন এবং স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে নেতৃবৃন্দের মতামত জানতে চান। নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি ও বিভিন্ন পদক্ষেপ জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগকে আরো সক্রিয় করার অনুরোধ করেন। </p> <p style="text-align:justify">এবি পার্টির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট উত্থাপিত সুপারিশগুলো হলো : এক. জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিস কমিশনের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা এবং অংশীজনদের মতামত গ্রহণ; দুই. ‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন; তিন. জনস্বাস্থ্য ও প্রাইমারি হেল্থ কেয়ারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া; চার. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা; পাঁচ. বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী চিকিৎসকদের ও ইন্টার্নদের মানসম্মত ভাতা বৃদ্ধি করা; ছয়. রেফারেল সিস্টেম চালু করা; সাত. মানহীন সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো বন্ধ করে দেয়া; আট. বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করা; নয়. ওষুধের দাম কমানো ও জাতীয় ওষুধ নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলা; দশ. অতীতের দুর্নীতি ও সকল প্রকার অনিয়মের পুনরুত্থান রোধ করা; এগারো. বিদ্যমান পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সগুলোর সময় কমিয়ে এনে ট্রেইনিদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশা দূর করে কোর্সগুলোকে গতিশীল করা, পাশের হার বাড়ানো; বারো. ৪২তম বিসিএসসহ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সকল আবেদনকারীকে পদায়নের সুপারিশ করা; এবং তেরো. প্রবাসী বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও পোশাক শ্রমিকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা।<br />  </p>