<p style="text-align:justify">তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় বাতিল চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা আবেদনের শুনানি হবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। আগামী ২৪ অক্টোবর শুনানির তারিখ দিয়েছেন আদালত। ওই দিন বিএনপির মহাসচিবের আবেদনের সঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের আবেদনটিও শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গত ২৭ আগস্ট এই আবেদন করেছিলেন তারা। </p> <p style="text-align:justify">রবিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে আবেদন দুটি উপস্থাপন করা হলে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে মির্জা ফখরুলের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনির। আর পাঁচ রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া।</p> <p style="text-align:justify">পরে আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুটি আবেদনই শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত। আগামী ২৪ অক্টোবর শুনানির তারিখ করা হয়েছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি : প্রণয় ভার্মা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729424727-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি : প্রণয় ভার্মা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437178" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের চাপে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার। ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতির প্রবর্তন ঘটে। এরপর এই পদ্ধতির অধীনে সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।</p> <p style="text-align:justify">তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে এম সলিমউল্যাহসহ তিন আইনজীবী  হাইকোর্টে একটি রিট করেন। শুনানির পর তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন। রায়ে বলা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানসম্মত ও বৈধ। এ সংশোধনী সংবিধানের কোনো মৌলিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি।</p> <p style="text-align:justify">এরপর সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একটি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। ওই সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন হয়। ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট। ওই বছর রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১০ সালে আপিল শুনানি শুরু হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ হাজার ৫৯৮ জন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729422496-e0da419712736c80dd38024d8dfeca6c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ হাজার ৫৯৮ জন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437169" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। পরের বছর সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট রিভিউ করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন। আর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় বাতিল চেয়ে গত ১৭ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।</p>