<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নবগঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাতিল করে সব ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। পরিষদের নেতারা প্রশাসন ক্যাডারকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, শুধু একটি ক্যাডারের প্রতিনিধি দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পরিষদের নেতারা। এ সময় আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের নেতা তথ্য ক্যাডারের মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, গণপূর্ত ক্যাডারের মো. হাফিজুর রহমান, কৃষি ক্যাডারের মো. আরিফ হোসেন, শিক্ষা ক্যাডারের মো. মফিজুর রহমান, পশুসম্পদ ক্যাডারের শাহাদাত হোসেনসহ ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তথ্য বেতার ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করলাম, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে আট সদস্যের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারের কোনো সদস্য নেই। বরং কমিশন প্রধানসহ ছয়জন সদস্য একটি ক্যাডারের, যাঁরা সিভিল প্রশাসনের বৈষম্য সৃষ্টিকারী। এ ছাড়া এর আগেও বৈষম্য নিরসনে তাঁদের দিয়েই কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং তাঁরা সেই সুযোগে বৈষম্য আরো বাড়িয়েছেন। পরিষদ মনে করে, বৈষম্যপূর্ণ এ কমিশন কোনোভাবেই বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে না। বরং বিদ্যমান সিভিল প্রশাসন আরো গণবিরোধী হবে। তাই পরিষদ এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সব পেশাজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিশন পুনর্গঠনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিভিল সার্ভিসের বাইরে জনপ্রশাসন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞকে কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ২৫টি ক্যাডারে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মকর্তা চাকরি করেন। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, জনসেবা এই ২৫টি ক্যাডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই ২৫টি ক্যাডারকে পাশ কাটিয়ে শুধু একটি ক্যাডারের প্রতিনিধি দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়। আমরা রাজপথে নামতে চাই না। কিন্তু সরকারকে বুঝতে হবে, আমরা দেশের মোট ৯০-৯২ শতাংশ ক্যাডার কর্মকর্তার প্রতিনিধিত্ব করি। তাই আমাদের উপেক্ষা করা হলে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন, যা সরকারের জন্য স্বস্তিকর হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>