<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল হচ্ছে। এ জন্য </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষ পরিস্থিতিতে সরাসরি জ্বালানির দাম সমন্বয় করার বিধান রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অধ্যাদেশ ২০২২ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, জ্বালানির দাম নির্ধারণে বিইআরসিকে গণশুনানি করতে হয়। এতে ৯০ দিন সময় লাগে। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য নিজের হাতে ক্ষমতা নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩-এর সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর আগে জ্বালানির দাম বাড়ানোর আইনগত ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে অংশীজনদের নিয়ে গণশুনানি করত বিইআরসি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাসসম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ/মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অধিক সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন, জনপ্রত্যাশা এবং ভোক্তার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিদ্যমান আইনের ৩৪-এর ক ধারায় বলা আছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>