<p style="text-align:justify">কোনো ধরনের গণশুনানি ছাড়া সরকার আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারবে না। এ জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩ সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।</p> <p style="text-align:justify">প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হবে। এতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।</p> <p style="text-align:justify">বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা পরিষদ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিলে এটি ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪’ নামে অভিহিত হবে। একই সঙ্গে এই আইনের ৩৪-এর ক ধারা বিলুপ্ত করা হবে। বর্তমানে এই ধারা অনুযায়ী ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের। এই ধারা বিলুপ্ত হলে গণশুনানি ছাড়া সরকার আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারবে না।</p> <p style="text-align:justify">যদি মূল্য বৃদ্ধি করতেই হয়, তাহলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বিধান অনুযায়ী স্টেকহোল্ডারস কনসালটেশনের মাধ্যমে মূল্য সমন্বয় করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই আইন সংশোধন হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম আগে যেভাবে বিইআরসি নির্ধারণ করত, এখন সেভাবেই বিইআরসি নির্ধারণ করবে। বিইআরসির গণশুনানি ছাড়া দাম বাড়ানো যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, মাঝখানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করার যে নিয়ম করা হয়েছিল, সেটা বাতিল হয়ে যাবে। তবে আইনের সংশোধনী যদি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দেয়, তাহলেই এটা কার্যকর হবে।</p> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শাসন বিভাগ রেগুলেটরি ক্ষমতা পেতে পারে না। রেগুলেটরি কমিশনের পাশাপাশি সরকারের রেগুলেটরি ক্ষমতা থাকতে পারে না। আইনের যে মূল ভিত্তি, উদ্দেশ্য ও স্পিরিট, সেটাকেই খর্ব করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়া বিইআরসি যে একটি স্থায়ী কাঠামোর দিকে যাচ্ছিল, সেটাও অকেজো করা হয়েছিল।</p> <p style="text-align:justify">এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">বিশেষ পরিস্থিতিতে সরাসরি জ্বালানির দাম সমন্বয় করার বিধান রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন অধ্যাদেশ ২০২২ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, জ্বালানির দাম নির্ধারণে বিইআরসিকে গণশুনানি করতে হয়। এতে ৯০ দিন সময় লাগে। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য নিজের হাতে ক্ষমতা নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।</p> <p style="text-align:justify">এরপর ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩-এর সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার।</p> <p style="text-align:justify">জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা তখন গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে আইন সংশোধনের অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে ‘ভোক্তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার’ ও ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন</strong></p> <p style="text-align:justify">অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ আগস্ট সচিবালয়ে প্রথম অফিস করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।</p> <p style="text-align:justify">দেশের ক্রীড়া বিষয়ে আপাতত তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছিলেন আসিফ মাহমুদ। একটি হলো শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন। আজ শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রস্তাব করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন হতে পারে।</p>