<p>এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিন খান। ‘ব্যাটারি গলি’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা সাভারে। এখনো সেখানেই থাকেন। টানা শুটিং পড়লে ঢাকায় থাকা হয়। তবে সেটা দু-চার দিনের বেশি নয়। যেহেতু সাভারে থাকেন, তাই ঢাকার আগেই শীতের আমেজটা বুঝতে পারেন ফারিন। এবারও তা-ই হয়েছে।</p> <p>গতকাল (বৃহস্পাতিবার) দুপুরে বারান্দায় রোদ পোহাতে পোহাতে কথা বলছিলেন তিনি। ফারিন বলেন, ‘শীত আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। শীতে শুটিং করেও অনেক আরাম। মেকআপ নষ্ট হয় না। গরমের প্যারাও থাকে না। অন্যদিকে শীতে খেজুরের রস পাওয়া যায়। এটা আমার খুব প্রিয়। এই সময় নানুর বাড়ি গেলে খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা, পায়েস, গুড় খেতে পারি। এরই মধ্যে নানুবাড়ির দাওয়াত পেয়েছি। ভাবছি, সামনের সপ্তাহে সময় করে যাব। দু-তিন দিন থাকব। আমার নানুর বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে নানুবাড়ি ঘিরে। আমরা শীতকালে বেড়াতে গেলে নানু নানা পদের রান্না করতেন। মাটির চুলার রান্না, আহ! স্বাদ যেন মুখে লেগে থাকত।’</p> <p>শীত যেমন ফারিনের কাছে প্রিয়, তেমনি কিছুটা ঝামেলায় পড়েন তিনি। তাঁর ত্বক শুষ্ক। ফলে গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করেন। বলেন, ‘ভালোর সঙ্গে খারাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার স্কিন ড্রাই। শীতের সময় আরো বেশি ড্রাই হয়ে যায়। ফলে শুটিং করতে গেলে সব সময় ব্যাগে গ্লিসারিন বা জেলি রাখি। যখনই মনে হয় ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে তখনই ব্যবহার করি।’</p> <p>এরই মধ্যে ভালোবাসা দিবস ও রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নাটক নির্মাণের তোড়জোড়। ফারিনের কাছেও আসছে একের পর এক প্রস্তাব। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে টানা শুটিং করবেন তিনি। তখন শীত যে তীব্রতা ছড়াবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি।</p> <p>ফারিন বলেন, ‘ঢাকায় শুটিং হলে শীত অতটা বোঝা যাবে না। তবে এবার বেশ কিছু আউটডোর শুটিং আছে। তখন সঙ্গে রুম হিটারসহ গরম পোশাক রাখব। শীতের প্রসাধনী তো মাস্ট থাকবে। খবরে জানলাম, এবার নাকি শীতের তীব্রতা বাড়বে। যদি তা-ই হয়, গ্রামের মানুষের বেশ কষ্ট হবে। আমার নানুর বাড়ির দিকে খুব শীত পড়ে। দেখেছি, মানুষ খড় পুড়িয়ে আগুন পোহায়। এই সময় বিত্তবান মানুষকে অনুরোধ করব অসহায় মানুষের পাশে থাকার।’</p>