<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সাল। মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির বেলে পাথরে আট কোটি বছরের পুরনো একটি জীবাশ্মের সন্ধান মেলে। ওতে অস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছিল, দুই প্রজাতির ডাইনোসরের অসম লড়াই। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লড়াকু ডাইনোসর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের এই জীবাশ্মচিত্র তখন জীবাশ্মবিদদের কাছে বেশ সাড়া জাগায়। কারণ জীবাশ্মটিতে দেখা যাচ্ছিল কিভাবে মাংসাশী ভেলোসিরাপটর ডাইনোসর তৃণভোজী প্রোটোসিরাটোপস ডাইনোরসরকে হত্যা করছে। এই ঘটনার পর কিছু কিছু গবেষক এটাই ধরে নিয়েছেন, ভেলোসিরাপটর ডাইনোসর সুযোগ পেলেই প্রোটোসিরাটোপস ডাইনোরসরের মাংস খেত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টির সঙ্গে একমত হতে পারেননি লন্ডনের কুয়িন মেরি ইউনিভার্সিটির জীবাশ্মবিদ ডক্টর ডেভিড হোনে। তাঁর যুক্তি হচ্ছে, ভেলোসিরাপটর ডাইনোসর প্রতিকূল পরিবেশে বাধ্য হয়ে অন্য প্রাণীর মাংস খেতে পারে। সচরাচর এটা মাংস খায় না। বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Uncovering Dinosaur Behavior: What They Did and How We Know </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(ডাইনোসরের আচরণ উন্মোচন : তারা কী করেছিল এবং আমরা কিভাবে জানি)। বইটিতে তিনি বলেছেন, বিচ্ছিন্ন জীবাশ্ম পরীক্ষণের মাধ্যমে ডাইনোসরদের আচরণ সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। নমুনা লাগবে, একক তথ্য পয়েন্ট লাগবে। এক জীবাশ্মের ফল দিয়ে অন্য সব ডাইনোসর সম্পর্কে সিদ্ধান্ত টানার যুক্তি নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বইটিতে ডক্টর হোনে বেশ প্রামাণ্যপন্থায় ডাইনোসরদের জীবনযাপন ও আচরণ সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি এটাও ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে ভুল তথ্য ডাইনোসর সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি মনে করিয়ে দেন, বেশির ভাগ ডাইনোসরের যেসব ছবি কম্পিউটারের মাধ্যমে অঙ্কন করা হয়, সেটার পেছনে জীবাশ্মবিদদের চিন্তাধারা ও নির্দেশনাও কাজ করে। এগুলোকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ডাইনোসরের প্রকৃত চিত্র ভাবার ভিত্তি নেই। তিনি এটাও লিখেছেন, ডাইনোসর সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা এদের অনেক ফসিল আবিষ্কৃত হওয়ার আগেই সূচিত হয়ে গেছে। একটি প্রাণী মারা যাওয়ার পর বন্যা অথবা নদীর স্রোত মৃতদেহকে ভাসিয়ে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। যেসব স্থানে এসব জীবাশ্মের সন্ধান এখন মিলছে, সেসব স্থান দেখে ওই সব প্রাণী সম্পর্কে নির্ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার সম্ভাবনাও কম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডক্টর হোনে বলেন, একটি জীবাশ্ম তুলে ধরে এটার বয়স কত। জীবাশ্মের বয়স কখনই এটা স্থির করে না, প্রাণীটি আসলে কখন মারা গিয়েছিল। যাই হাক, ডক্টর হোনের এই চিন্তাধারা জীবাশ্ম বিজ্ঞানীদের ঠিকই ভাবাচ্ছে। সূত্র : সায়েন্সনিউজডট অর্গ। </span></span></span></span></p> <p> </p>