<p>বাংলা চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক সম্রাট বলা হয় এন্ড্রু কিশোরকে। অসংখ্য সিনেমায় যেমন গেয়েছেন, তেমনি তাঁর গানও হয়েছে জনপ্রিয়। তিনি সংগীত জীবনে কণ্ঠ দিয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি গানে। গতকাল ছিল এই সংগীত সম্রাটের জন্মদিন। অথচ জন্মদিনের এই মুহূর্তে তার পরিবারের আক্ষেপ, এখনও তার গানের রয়্যালিটি পাচ্ছেন না তারা!</p> <p>এখনো কোনো অনুষ্ঠান হলেই বাজে এন্ড্রু কিশোরের গান। শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় আজও এই কিংবন্তির কন্ঠ সবার উপরে। অথচ সেই শিল্পী নিজেও গাওয়া গানগুলোর রয়্যালিটি পাচ্ছেন না! গতকাল প্রয়াত শিল্পীর জন্মদিনে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু।</p> <p>লিপিকা এন্ড্রু বলেন, ‘আমার স্বামী চলচ্চিত্রের গানই বেশি করেছেন। গানগুলোর রয়্যালিটি দাবি করেও কিছু পাচ্ছি না। অডিওতে যে অল্প কয়েকটি গান করেছেন, সেগুলোর রয়্যালিটি কিন্তু পাচ্ছি। আমি আইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কপিরাইট আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। সেই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রাপ্য রয়্যালিটি কম্পানিগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’</p> <p>কপিরাইট আইন প্রসঙ্গে সাবেক রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস ও কপিরাইট আপিল বোর্ডের সদস্য জাফর রাজা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “গানের কপিরাইট দুই ধরনের। মোর‍্যাল রাইট ও কমার্শিয়াল রাইট। সিনেমার গান কমার্শিয়াল রাইটের মধ্যে পড়ে। যেটা মালিকানায় একটু পার্থক্য আছে। সিনেমার গানগুলো যেহেতু নির্দিষ্ট সিনেমার জন্য ব্যবহার করা হয় তাই এটার গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে একটি চুক্তিপত্রে যুক্ত হন। কিন্তু মালিকানা থাকে প্রযোজকের। ২০০০ সালে প্রণয়ন করা কপিরাইট আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রের গানের ক্ষেত্রে একমাত্র মালিক প্রোডিউসারকে দেওয়া হয়। তবে গানের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার এবং শিল্পীদের দাবির প্রেক্ষিতে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’</p> <p>নতুন আইনে এন্ড্রু কিশোরের গানের রয়্যালিটি তার পরিবার পাবেন কি না এমন প্রশ্নে রাজা চৌধুরী বলেন, “সংশোধিত আইনটা পাস হয়েছে ২০২৩ সালে। এন্ড্রু কিশোরের গানগুলো যেহেতু ২০২৩ এর আগে অর্থাৎ নতুন আইন প্রণয়নের আগের, সেক্ষেত্রে উনি অভিযোগ করলেই গানগুলোর রয়্যালিটি পাবেন না। তবে উনারা পেতে পারেন যদি আইনের ধারা অনুসারে হাই কোর্টে রিট করেন তাহলে। অর্থাৎ আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে গানের রয়্যালিটি নিতে হবে।”</p>