<p>যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রতীক্ষিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আজ। নির্বাচনে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত ‘সুইং স্টেট’ অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয়। সাধারণনত নির্বাচনের বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচই নভেম্বর।</p> <p>অন্য অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজনৈতিক দল নেই। দেশটিতে প্রধানত দুইটি দলই বেশি ভোট পেয়ে থাকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মূলত আধুনিক উদারনীতিতে বিশ্বাসী। তারা নাগরিক অধিকার, বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা এবং শ্রমিক ইউনিয়নে পক্ষে কথা বলে থাকে।</p> <p>অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টি আমেরিকান রক্ষণশীলতার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। সেজন্য দলটি ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’ (জিওপি) নামেও বেশ পরিচিত। তারা সীমিত সরকারি নিয়ন্ত্রণ, কম কর হার, সরকারের আকার ছোট রাখা, মুক্তবাজার পুঁজিবাদ, বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার এবং অভিবাসন ও গর্ভপাতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার পক্ষের দল।</p> <p>তবে প্রধান এই দুই দলের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য কিছু ছোট রাজনৈতিক দল রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির মতো দলগুলোকে কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ঘোষণা করতে দেখা যায়। যদিও ওই প্রার্থীদের নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না এবং তারা নির্বাচনে বিজয়ীও হননি।</p> <p><strong>প্রচারণার ইস্যু </strong></p> <p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় দেশটির অভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ, অথনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সংকটগুলোও বেশ গুরুত্ব পেতে দেখা যাচ্ছে।</p> <p>গত সেপ্টেম্বরে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম যে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, গর্ভপাত আইন, প্রজেক্ট-২০২৫, পররাষ্ট্র নীতি ছাড়াও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন।</p> <p>এক্ষেত্রে নির্বাচনে জিততে ‘অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি’ গড়ে তোলার বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন মিজ হ্যারিস। এ ছাড়া ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রে আবাসনের খরচ কমানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের প্রচারণার ইস্যু হিসেবে ‘প্রজেক্ট-২০২৫’ও বেশ আলোচিত হতে দেখা যাচ্ছে।</p> <p>‘প্রজেক্ট-২০২৫’ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থীদের তৈরি একটি পরিকল্পনা, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়ানোসহ বিভিন্ন উগ্র-ডানপন্থী নীতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। ওই প্রজেক্টকে ‘বিপজ্জনক পরিকল্পনা’ অভিহিত করে হ্যারিস দাবি করেছেন যে, ট্রাম্প ওই প্রেজেক্টে জড়িত রয়েছেন।</p> <p>ফলে সাবেক ওই প্রেসিডেন্ট এবার নির্বাচিত হলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিবেন বলে ভোটারদের সতর্ক করেছেন হ্যারিস। তবে ট্রাম্প অবশ্য ওই প্রজেক্টের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।</p> <p>দুইপ্রার্থীর প্রচারণায় দেশটির গর্ভপাত নীতির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ডেমোক্রেটরা গর্ভধারণের ‘নবম মাসে’ গর্ভপাতের অনুমতি দিতে চায় বলে দাবি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। অন্যদিকে,  ট্রাম্পই দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন বিচারপতিকে নিয়োগ করে গর্ভপাতের জাতীয় অধিকারকে বাতিল করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন হ্যারিস।</p> <p>উভয় প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় গাজা-ইরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গও গুরুত্ব পাচ্ছে। ওই যুদ্ধের ‘অবসান হওয়া উচিৎ’ মন্তব্য করে হ্যারিস বলছেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয়’ সমাধানের পথে হাঁটলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি ক্ষমতায় থাকলে গাজা-ইরায়েল যুদ্ধ ‘কখনোই শুরু হতো না’।</p> <p>হ্যারিসকে ‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ভাইস-প্রেসিডেন্ট” উল্লেখ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটাও বলছেন যে, ডেমোক্র্যাটরা নভেম্বরের নির্বাচনে জিতলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও বেঁধে যেতে পারে।</p> <p><strong>নির্বাচনে মূল প্রার্থী </strong></p> <p>২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অতীতের মতো এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন দলটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।</p> <p>তার বিরুদ্ধে মাঠে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিজনেস টাইকুন ট্রাম্প এর আগেও নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ২০শে জানুয়ারি তিনি দেশটির ৪৫-তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।</p> <p>অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী হ্যারিস এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়িয়েছেন। এর আগের নির্বাচনে তিনি জো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি বাইডেন প্রশাসনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও ওই একই পদে তার নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে জো বাইডেন নাটকীয়ভাবে নির্বাচনি দৌড় থেকে ছিটকে পড়ার পর মিজ হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন।</p> <p>তার রানিং মেট হিসেবে মাঠে রয়েছেন আরেক ডেমোক্র্যাট নেতা টিম ওয়ালজ। মওয়ালজ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচনে জিততে পারলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মিজ হ্যারিস হবেন প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট। হিলারি ক্লিনটনের পরে তিনি দ্বিতীয় নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন। আর তার রানিং মেট হিসেবে ওয়ালজ হবেন পরবর্তী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।</p> <p>কিন্তু যদি তেমনটি না ঘটে, তাহলে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সুযোগ পাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন তার রানিং মেট জেডি ভান্স। ২০২২ সালে রাজনীতিতে আসা ভান্সের অল্প সময়ের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা হয়েছেন। তার ব্যক্তিত্ব শ্রমজীবী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে ভেবেই তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ট্রাম্প মনোনীত করেছেন বলে মনে করেন অনেকে।</p> <p><strong>কারা ভোট দিতে পারেন?</strong></p> <p>এক কথায় বললে, আঠারো বছর বা তার উপরের যেকোনো মার্কিন নাগরিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নর্থ ডাকোটা বাদে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে আগেই ভোটার নিবন্ধন করা হয়। ভোটের আগেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।</p> <p>এমনকি, বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরাও ভোটার নিবন্ধনে নাম লেখাতে পারেন। এক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালোটে বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্যও তারা আবেদন করতে পারেন। ভোটাররা কতক্ষণ ভোট দিতে পারবেন, সেটি অঙ্গরাজ্যগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে সাধারণত আগাম ভোটের সুযোগ দেয়া হয়। যার ফলে তালিকাভুক্ত ভোটাররা নির্বাচন দিনের আগেই তাদের ভোট দিতে পারেন।</p> <p>সেখানে ডাকযোগে ভোট দেয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এক্ষেত্রে যারা অসুস্থতা, প্রতিবন্ধিতা, ভ্রমণ বা অন্য কোনো কারণে দেশ বা অঙ্গরাজ্যের বাইরে থাকায় ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না, তাদের জন্য ডাকযোগে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাবেন, তাদের সশরীরে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দিতে হবে।</p> <p><strong>প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি আরো নির্বাচন </strong></p> <p>আগামী পাঁচই নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে সবার নজর যে প্রেসিডেন্ট-ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের দিকে থাকবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে প্রেসিডেন্ট-ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মার্কিন ভোটাররা তাদের আইনসভার নতুন সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভাকে বলে কংগ্রেস, যা মূলত দুই কক্ষবিশিষ্ঠ।</p> <p>এর নিম্নকক্ষকে 'হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস' বা প্রতিনিধি পরিষদ এবং উচ্চকক্ষকে 'সেনেট' বলা হয়ে থাকে। কংগ্রেসের এই দুই ধরনের সদস্যের মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য। এবারের নির্বাচনে মার্কিন নিম্নকক্ষের ৪৩৫টি আসনের সব কয়টিতেই ভোট হবে। অন্যদিকে, সেনেট সদস্যদের মেয়াদ হয়ে থাকে ছয় বছর। তবে প্রতি দুই বছর পরপর সেনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে পাঁচই নভেম্বরের নির্বাচনে সেনেটের ৩৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানা যাচ্ছে।</p> <p>কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। অন্যদিকে, সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে এবারও তারা উচ্চকক্ষে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদেরও নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে।</p> <p><strong>‘সুইং স্টেট’ </strong></p> <p>বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় 'রেড স্টেট' বা 'লাল রাজ্য' আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় 'ব্লু স্টেট' বা 'নীল রাজ্য'।</p> <p>ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইং স্টেট’ এর দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না।</p> <p>এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে 'বেগুনি রাজ্য'। প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।</p> <p>আরিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলি ২০১৬ সালে এভাবেই ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনি প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।</p> <p>সূত্র: বিবিসি</p> <p><br />  </p>