<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে নেমে জালভর্তি ইলিশ মাছ পেয়ে জেলেদের মুখে হাসির ঝিলিক লেগে থাকার কথা। কিন্তু জেলেরা ট্রলার নিয়ে প্রাণান্ত চেষ্টা করেও ইলিশ না পেয়ে হতাশ। তবে পূর্ণিমার আগে আবার নতুন করে সাগর থেকে মাছ নদীতে উঠে আসবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। কালের কণ্ঠ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল : নদীতে ইলিশ না মেলায় বেশির ভাগ জেলের মুখ মলিন। মৌসুমের শুরুতেই ঋণের টাকায় নৌকা ও জাল কিনে মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সেগুলো মেরামত করেছিলেন জেলেরা। কিন্তু আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় এখন তাঁরা ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলে শাহজাহান খান জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে তিনি তিন ছেলে নিয়ে তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকারে নামেন। রাতভর তিনবার তেঁতুলিয়ায় জাল ফেলে ৩০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম সাইজের সাতটি ইলিশ পেয়েছেন। অন্য জেলেরাও তেমন মাছ পাচ্ছেন না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, মেঘনা নদীতে গত বছরের চেয়ে এবার প্রজনন মৌসুমে বেশি ইলিশ এসেছিল। এবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে অভিযান চালাতে গিয়ে মৎস্য কর্মকর্তারাও বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা : সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার জেলে সাধু মাঝি জাল-ট্রলারসহ সাত জেলে মিলে মেঘনায় মাছ শিকারে যান। ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদীতে কয়েক দফা জাল ফেলে সকালে শূন্য হাতে ঘাটে ফেরেন। ভোলার বেশির ভাগ জেলেই নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে প্রায় শূন্য হাতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার সদর উপজেলার তুলাতুলি, ভোলার খাল, ভাংতির খাল, ইলিশা চডারমাথাসহ বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব কালের কণ্ঠকে জানান, পূর্ণিমার আগে আবার নতুন করে সাগর থেকে মাছ নদীতে উঠে আসবে। তখন জেলের জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদপুর : সদর উপজেলার রনাগোয়াল এলাকার জেলে সাইফুল গতকাল জানান, ভোরে তিন ঘণ্টা নদীতে জাল ফেলে ছোট-বড় মিলিয়ে ছয়টা ইলিশ ও অন্য কিছু মাছ পেয়েছেন। কিন্তু এতে খরচ পোষানোই কঠিন। কারণ তাঁর সঙ্গে আরো পাঁচজন জেলে। সঙ্গে আছে নৌকার ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে ইলিশ গবেষক ও মৎস্য বিজ্ঞানী ড. আনিছুর রহমান জানান, আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় মা ইলিশ নদীর মিঠা পানিতে ডিম ছেড়ে আবার সাগরে চলে গেছে। অল্প কিছু ইলিশ নদীতে এখনো বিচরণ করছে। তা-ই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের সঙ্গে অন্যান্য মাছ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। সুতরাং সেই সব মাছেরও উৎপাদন বাড়বে।</span></span></span></span></p>