<p style="text-align:left"><span style="color:#d35400"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পাখি বনতলে ধীরে ধীরে হেঁটে বেড়ায়। মানুষের শব্দ পেলে প্রথমে থেমে যায়, কিংবা ছোট ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। পাখিটির গায়ের পালকের রং পুরোটাই প্রায় মিলে যায় শুকনা পাতার সঙ্গে। তাই নড়াচড়া না করলে পাখিটির দেখা পাওয়া মুশকিল</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হেমন্তের শীতল হাওয়ায় ডানা ভাসিয়ে বাংলার জনপদে কিছু বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে। নগরে হেমন্ত বোঝা যায় না, তবে হেমন্তের পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় ঢাকার মিরপুর জাতীয় উদ্যানে। এদের মধ্য আঁশটে দামা, বনখঞ্জন, ধলালেজ রবিন ও দেশি নীল রবিন উল্লেখযোগ্য। অনেক বছর ধরে এই চার প্রজাতির পাখি নিয়মিত দেখা যাচ্ছে মিরপুরের উদ্যানে, তবে সংখ্যায় খুব কম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চার প্রজাতির পাখি দেখার জন্য সপ্তাহে এক দিন খুব সকালে সেখানে গেছি। এ উদ্যানের যেখানে আঁশটে দামা পাওয়া যেতে পারে এমন সম্ভাব্য দুটি জায়গা হলো জারুল ও গর্জন বাগান। তবে এ দুই জায়গায় খুঁজেও আঁশটে দামার দেখা পাইনি। বনের অনেক জায়গা ঘুরে অবশেষে অর্কিড অঙ্গনের পূর্ব দিকের এক গুল্মের জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গেল আঁশটে দামা (</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Scaly Thrush</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">)| </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বনতলে ঝরে পড়া পাতার মধ্যে খাবার খুঁজছিল পাখিটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ উদ্যানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অংসখ্য মানুষের আনাগোনা। ফলে পাখিরা খুব সতর্ক থাকে। দূর থেকে মানুষের টের পেলেই উড়ে চলে যায়। তাই খুবই সতর্ক হয়ে পাখিটি দেখছিলাম। এই পাখি বনতলে ধীরে ধীরে হেঁটে বেড়ায়। মানুষের শব্দ পেলে প্রথমে থেমে যায়, কিংবা ছোট ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। পাখিটির গায়ের পালকের রং পুরোটাই প্রায় মিলে যায় শুকনা পাতার সঙ্গে। তাই নড়াচড়া না করলে পাখিটির দেখা পাওয়া মুশকিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আঁশটে দামা আমাদের দেশে অনিয়মিত পরিযায়ী পাখির তালিকায় স্থান পেয়েছে। পাখিটির সারা দেহ মাছের আঁইশের মতো দাগে ভরা। ডানা ও পিঠের পালকে কালো ও বাদামি রঙের মিশেল, তাতে পীতাভ ও কালচে ডোরা থাকে। মাথার পালকে সাদা সাদা ছিট রয়েছে। দেহের ওপরের অন্যান্য অংশ কালো এবং অর্ধচন্দ্রাকার দাগসহ হলদে জলপাই-বাদামি। দেহতল সাদাটে। চোখ কালো, চোখের চামড়া হলদে। সামান্য বাদামি গোড়াসহ ঠোঁট শিংকালো। আমাদের দেশে ১৪ প্রজাতির দামা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ প্রজাতির দামা আমাদের দেশে পরিযায়ী এবং অনিয়মিত পাখি। অনিয়মিত বলতে হেমন্ত বা শীতের সময় মাঝে মাঝে দেখা যায়। একমাত্র কমলা দামাই আমাদের আবাসিক দামা। দামা পরিবারের পাখির প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হলো এরা ভূচর এবং বনতলের পাতা উল্টে খাবার খুঁজে খায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আঁশটে দামা সাধারণত চিরসবুজ বনের বনতলের গুল্ম-লতায় বিচরণ করে, তবে পানির কাছের ঝোপ-জঙ্গল পছন্দ করে। সচরাচর একা বা জোড়ায় থাকে। ভূমিতে ঝরা পাতা ও আবর্জনায় ঠোঁট ঢুকিয়ে খাবার খোঁজে। খাবারের তালিকায় আছে পোকা ও তাদের লার্ভা। রসালো ফল ও উইপোকার সন্ধান পেলে সেখানে বারবার আসে। উষা ও গোধূলিবেলায় বেশি কর্মচঞ্চল থাকে। এরা আমাদের দেশে বাসা বানায় না; বাসা গড়ে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>