<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে এখন মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি চলছে। কৈলাস থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। এই উৎসব ঘিরে, সারা দেশের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ। এদিকে সেনাপ্রধানের আশ্বাসে কুমারী পূজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কুমারী পূজার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার পরিবর্তনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকায় কুমারী পূজা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানতে পেরে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের পক্ষ থেকে উপসেনাপ্রধান গত শনিবার রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে মহারাজ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দের সঙ্গে দেখা করে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। কুমারী পূজা যেন বাদ না যায় সে বিষয়ে অনুরোধ করেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে এবারের পূজার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বামী হরিপ্রেমানন্দ (স্বপন মহারাজ) সাংবাদিকদের জানান, সেনাবাহিনীর অনুরোধে মিশনের প্রধান পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ কুমারী পূজা আয়োজন করা হবে বলে কথা দিয়েছেন। আমরা আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছি। পূজার দিনগুলোতে মিশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে কুমারী পূজা আয়োজনের সিদ্ধান্তে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনসহ সব মণ্ডপে পুরোদমে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ চলছে। পূজায় মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের নজরকাড়তে সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দিরে এখন চলছে থিমভিত্তিক সাজসজ্জার কাজ। সারা দেশে বইছে উৎসবের আমেজ। সায়ংকালে ধূপের ধোঁয়া, ঢাকঢোল, উলুধ্বনি আর কাঁসর-মন্দিরার সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে উঠবে পূজামণ্ডপ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পূজার আর মাত্র দুই দিন বাকি। আশা করছি ভালোভাবেই আমরা আমাদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারব। প্রস্তুতি ও প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রতিমাশিল্পীরা রঙের কাজ করছেন। আমরা মণ্ডপের কাজ করছি। অন্যদিকে আলোকসজ্জার কাজ চলছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, পূজার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সারা দেশেই কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে পূজার। এরই মধ্যে আমরা সারা দেশে নির্দেশনা দিয়েছি, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পূজা আয়োজনের। সরকারের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইজিপি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন, পূজা ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে বলেও জানান তিনি।</span></span></span></span></p>