<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা গত ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণায় হজের খরচে যে হারে কমিয়েছেন, তাতে হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ আসবে বলে মনে হয় না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখনো হজের ক্ষেত্রে সৌদি আরবে তিন লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ বিমান ভাড়া এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা রয়ে গেছে। হজ গাইড ও আনুষঙ্গিকসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়। তার ওপর হজের কোরবানি, খাবারসহ আনুমানিক খরচ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ নিজস্ব কেনাকাটা বাদ দিলেও হজ করতে ন্যূনতম পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে থেকে হজ করতে আগ্রহী অনেকের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করা কঠিন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে তিন লাখ থেকে সোয়া তিন লাখ টাকার মধ্যে হজ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তিন খাতে হজের ব্যয় বেড়ে গেছে বলে মনে করি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. বাংলাদেশি টাকা অনুপাতে ডলারের দাম বৃদ্ধি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. হজ ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমান ভাড়া বৃদ্ধি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. সৌদি আরবে হজের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরসহ বাংলাদেশ আমলের গত ৫০ বছর তথা ৭৩ বছরের ইতিহাসে হজ করতে চরম আর্থিক প্রতিকূলতা দেখা দিচ্ছে। এই ৭৩ বছর কোটা অনুপাতে হজযাত্রীর সংখ্যা অত্যধিক ছিল। হজযাত্রীরা তালিকাভুক্ত হতে তৎপর। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হোক কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হোক গত হজ তথা ২০২৩ সালের হজে কয়েক বার করে সময় বাড়ানোর পরও চার হাজার ৫০০ কোটা খালি যায়। গত বছর হজে বাংলাদেশের কোটার তিন ভাগের এক ভাগ তথা ৪৪ হাজারের মতো কোটা খালি যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। সরকার ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি উভয় নিবন্ধনে নিবন্ধিত হয়েছে ১০ হাজার জন মাত্র। যারা হজে গমন করবে তারা অনেক আগে থেকেই আর্থিকসহ মনমানসিকতায় প্রস্তুত থাকবে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত নিবন্ধনে হজযাত্রীর কোটা তিন ভাগের এক ভাগও পূর্ণ হবে কি না সন্দেহ!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হজ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে অতি তৎপর হতে হবে। বিমান ভাড়া কমিয়ে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকায় আনা যায় কি না ভেবে দেখা দরকার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌদি আরবে হজের বিভিন্ন খাতে খরচ আরো কমানোর জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে এত ব্যয়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে হজের কোটার তিন ভাগের এক ভাগও যদি পূর্ণ না হয় তাহলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওপর আঘাত আসতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে করোনা মহামারির পর থেকে সৌদি সরকার ওমরাহ ব্যবস্থাপনাকে অতি সহজ করে দিয়েছে। ওমরাহ ভিসার মেয়াদ এক মাসের স্থলে তিন মাস করা হয়েছে। কাফেলা এজেন্সি ছাড়া কারো সহযোগিতা না নিয়ে ওমরাহ করা যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারেরও কমবেশি নর-নারী ওমরাহ পালনে গমন করছে। ১৫ দিনে মাত্র এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকার মধ্যে যাতায়াত, বিমান ভাড়া, পবিত্র মক্কা-মদিনায় অবস্থান, থাকা-খাওয়াসহ ওমরাহ করা যাচ্ছে। এতে ওমরাহকারী এহরাম পরিধান, খানায়ে কাবা তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সাঈ, আরাফাত-মিনা-মুজদালিফা ঘুরে আসছে এবং জিয়ারতের উদ্দেশে পবিত্র মক্কা-মদিনায় গমন করছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওমরাহর ব্যবস্থাপনা অতি সহজ হওয়ায় দুই সপ্তাহের প্যাকেজে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকার মধ্যে করতে পারায় মনে হয় তা হজের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হজ ফরজ ইবাদত। ওমরাহ করলে হজ আদায় হয় না। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ, হজ প্যাকেজ ২০২৫ পুনর্বিবেচনা করুন এবং হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।</span></span></span></span></p>