<p>জালিয়াতির তদন্তে প্যারিস ও আমস্টারডামে নেটফ্লিক্সের অফিসে পুলিশের তল্লাশি হয়েছে। ডাচ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ফরাসি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এই কাজ করেছে। মঙ্গলবার তদন্তকারীরা ফ্রান্স ও ডেনমার্কের এই দুই শহরে নেটফ্লিক্সের অফিসে তল্লাশি চালান। তারা জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত করছেন।</p> <p>সংবাদসংস্থা এএফপিকে এক সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি। প্যারিসে তদন্তকারীদের সঙ্গে আছেন আর্থিক ও দুর্নীতির তদন্তে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা।</p> <p>নেটফ্লিক্সের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা ফরাসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করছি। স্থানীয় অর্থনীতিতে নেটফ্লিক্সের যথেষ্ট অবদান আছে। আমরা সব দেশের আইন ও নিয়ম মেনেই কাজ করি।’</p> <p>প্যারিসের পাশাপাশি আমস্টারডামে সংস্থার ইউরোপীয় সদর দপ্তরেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সিরিয়াস ফ্রড, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম ও অ্যাসেট কনফিসকেশনের জাতীয় অফিসের মুখপাত্র ওমা বসমা বলেছেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষের অনুরোধ মেনেই তারা তল্লাশি করছেন।</p> <p>ফরাসি সূত্র উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের তদন্তকারীরা বেশ কিছু দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে সহযোগিতার ভিত্তিতে এগোচ্ছেন।</p> <p><strong>কেন এই তদন্ত?</strong><br /> এদিকে এই তদন্তের কারণ তদন্তকারীরা স্পষ্ট করেননি। তবে ইউরোপের কর কর্তৃপক্ষ প্রায়ই সীমান্তপারের অনলাইন পরিষেবা নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।</p> <p>এ ক্ষেত্রে তদন্তের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি। তবে ফ্রান্সে এই ধরনের তদন্তের অর্থ এই নয় যে এরপর ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হবে এবং তা শেষ পর্যন্ত বিচারের দিকে এগোবে।</p> <p>ফরাসি নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গত বছর নেটফ্লিক্স নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে ওঠে কর কর্তৃপক্ষ। তাদের মনে হয়, নেটফ্লিক্সের ফরাসি শাখা ১০ লাখ ইউরো কম কর দিয়েছে।</p> <p>প্যারিসে নেটফ্লিক্সের অফিস ২০২০ সালে খোলা হয় এবং সেখানে ৪০ জন কর্মী কাজ করেন। এর আগে ইতালির কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও নেটফ্লিক্সের বিরোধ হয়েছিল এবং ২০২২ সালে তাদের পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ইউরো দিয়ে বিরোধ মেটাতে হয়।</p>