<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মো. নেয়ামতুল্লাহ এবং তাঁর বন্ধুরা নিজ এলাকায় একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাঠাগার থেকে নির্ধারিত ফি (ভাড়া) পরিশোধ করে নির্ধারিত সময়ের জন্য বই পড়তে নেওয়া যায়। নির্ধারিত সময়ের পর কেউ বই ফেরত দিতে বিলম্ব করলে তাকে সময়ের অনুপাতে জরিমানা করা হয়। প্রশ্ন হলো, এভাবে বই ভাড়া দেওয়া এবং বিলম্বের জন্য জরিমানা গ্রহণ করা জায়েজ?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, বই ভাড়া দেওয়া জায়েজ। ভাড়া গ্রহণকারীর জন্য নির্ধারিত সময়ে ফেরত দেওয়া আবশ্যক। কোনো ওজর ছাড়া তা ফেরত দিতে বিলম্ব করা অনুচিত। বিলম্ব করার কারণে তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে বাধ্য করা জায়েজ। এটি হচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে বই থেকে উপকৃত হওয়ার ভাড়া। শর্ত হলো, অতিরিক্ত সময়ের জন্য অতিরিক্ত ভাড়ার শর্ত বই নেওয়ার আগেই বলে দিতে হবে। আগে উল্লেখ করা হলে অতিরিক্ত ভাড়া বা বিলম্ব মাসুল দিতে বাধ্য করা যাবে। আল্লামা মানসুর বিন ইউনুস বাহুতি (রহ.) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশেষ কোনো স্থানে যাওয়ার জন্য কোনো একটি বাহন ভাড়া করা জায়েজ আছে। কেউ যদি ওই স্থানের চেয়ে বেশিদূর চড়ে তাহলে সে সীমা লঙ্ঘন করল। কেননা সেটি মালিকের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মালিককে অতিরিক্ত চড়ার জন্য সমতুল্য ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(কাশশাফুল কিনা : ৪/৬৪)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়, কিছু কিছু মসজিদে বই ভাড়া দেওয়া হয় এই শর্তে যে বই ফেরত দিতে নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেরি করলে প্রতিদিনের বদলে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক জরিমানা পরিশোধ করতে হবে; যে জরিমানার অর্থ মসজিদের জন্য কিংবা মসজিদের স্বার্থে খরচ করা হবে। এটা কি জায়েজ হবে?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, হ্যাঁ। কেননা এটি অর্থের বিনিময়ে সেবা প্রদানের শ্রেণিভুক্ত। যদি দেরি করে তাহলে জরিমানা দিয়ে, সমতুল্য জরিমানা দিয়ে দেরি করবে। অর্থাৎ সে যদি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় বইটি থেকে উপকৃত হয়। আমি এতে কোনো অসুবিধা দেখি না। এতে শর্ত পূর্ণ করার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা হয়, যেন অবহেলাবশত বইটি গ্রহীতার কাছে থেকে না যায়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব : ১১/২৯৬) </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলামকিউএ ডটইনফো অবলম্বনে</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>