<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিকশচার, ফ্ল্যাটবেড, ডাম্প ট্রাক ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের শ্রমিকরা তিন দফা দাবিতে কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রেখে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করে। ফলে গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া আমদানি করা কনটেইনার বেসরকারি ডিপোতে ও ডিপো থেকে কোনো রপ্তানিমুখী কনটেইনার বন্দরে যায়নি। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিভিন্ন সংস্থার আশ্বাসে শ্রমিকরা তাঁদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। ৩৫ ঘণ্টা অচলাবস্থা থাকার পর কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়েছে। কনটেইনার পরিবহন বন্ধে ব্যবসায়ীদের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টিইইউএস (২০ ফিট দৈর্ঘ্যের কনটেইনারের একক) রপ্তানি কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে প্রায় ৮০০ আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়। কনটেইনার পরিবহনের এ কাজটি করে থাকেন প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিকশচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিকরা। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যবাহী তিন হাজারের বেশি কনটেইনার ডেলিভারি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা স্বাভাবিক হলেও ধর্মঘট চলাকালে বন্দর থেকে কোনো পণ্যবাহী কনটেইনার বাইরে যায়নি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ট্রেইলার চালক কামাল উদ্দিন বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। আইনানুসারে আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া আমরা কত ঘণ্টা কাজ করব সেটাও বলা আছে। অথচ দেখা গেছে, আমরা বছরের পর বছর ধরে কাজ করছি, কোনো কর্মঘণ্টা নেই। তাই আমরা আমাদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিকশচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি আবুল খায়ের কালের কণ্ঠকে বলেন, ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্য নিয়েও কোনো গাড়ি বন্দরে প্রবেশ করেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা শনিবার থেকে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু করবেন। এ ছাড়া কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও ন্যূনতম মজুরিসহ আইডি কার্ড ইস্যু করবেন। এ আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। দাবি আদায় না হলে আমরা আবারও ধর্মঘট শুরু করব।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বেসরকারি ডিপোগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ৩৫ ঘণ্টার ধর্মঘটে ২১টি ডিপোতে রপ্তানিমুখী কনটেইনার জমেছিল এক হাজার ৮০০ টিইইউএস। আর বন্দর থেকে ডিপোতে আসেনি ৮০০ টিইইউএস কনটেইনার। এ সময় আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা হবে। কারণ অনেক রপ্তানিকারক সঠিক সময়ে তাদের পণ্য জাহাজীকরণ করতে পারেনি। আবার আমদানি পণ্য খালাস হলেও সেগুলো গাড়ির অভাবে গন্তব্যে যায়নি। তবে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টা থেকে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>