<p>কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে তিনটি মামলায় জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) আদালত ঘেরাও করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরাও বক্তব্য দেন।</p> <p>এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ শুনানি শেষে রাশেদের জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানিতে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত অসংখ্য আইনজীবী অংশ নিয়ে ছিলেন। </p> <p>রাশেদকে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৫। পরে তাকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল চলাকালে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায়ও অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মাসেদুল হক রাশেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।</p> <p>তার জামিনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে আদালত প্রাঙ্গণে যান। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানান। </p> <p>বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে গিয়ে বিচারকরা ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিন প্রদান করছেন। এতে তাদের দ্রুত পুনর্বাসন সুযোগ হবে। </p> <p>কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, রাশেদকে যে তিনটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। একই সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে রাশেদ গুরুতর অসুস্থ বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে। সব বিবেচনায় আদালত এই মামলায় রাশেদকে তার (আবুল কালাম সিদ্দিকী) জিম্মীয় জামিন প্রদান করেন। এটা ন্যায়বিচারের অংশ।</p> <p>তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমি নিজেও মামলার আসামি হয়ে কারাভোগ করেছি। অ্যাডভোকেট মান্নানসহ আরো অনেক আইনজীবী নিজেরাও কারাভোগ করেছেন। ওই সময় আমাদের জামিনের ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল। এখন আবারও তা করা যাবে না। বিচারিক ব্যবস্থাকে আইনের গতিতে চলতে দিতে হবে।</p>