<p>নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুটি ধারায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।</p> <p>নিহত শিশুর নাম মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান (৭)। সে স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নোয়াখালীতে ভাঙচুর-চুরির মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729619607-81c12fa9d687a1c215b39c9c95d9204e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নোয়াখালীতে ভাঙচুর-চুরির মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/22/1438060" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আর দণ্ডিতরা হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো. সালমান হোসেন শিবলু (২২)।  </p> <p>মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুরে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় জিসানকে। পরে তাকে নোয়ান্নই ইউপির শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা। পরে সেখানেই তাকে মাটিতে পুঁতে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনার দুই দিন পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা  করে। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। আদালত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানী, কারাগারে শিক্ষক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729023228-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি, কারাগারে শিক্ষক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/16/1435651" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিলেন। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর-সম্পর্কের চাচা হন। মূলত অ্যানড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু লাভলুসহ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করেন। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।</p>