<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী থাকা সোনার দাম এবার কিছুটা থেমেছে। মূলত ডলার সূচকের মান খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দাম কমেছে বলে জানা যায়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে সোনার স্পট মূল্য ০.৪ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি দুই হাজার ৫১৪ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে বুলিয়েন সোনার দাম ২০ আগস্ট আউন্সপ্রতি দুই হাজার ৫৩১ ডলারে উঠেছিল। একই সঙ্গে ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি দুই হাজার ৫৪৯ ডলারে নেমে এসেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল ডলার ইনডেক্সের মান ০.১ শতাংশ বেড়েছে; সে কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার চেয়ে ডলারের কদর কিছুটা বেড়েছে। আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাবে, বাজার এখন সেদিকে তাকিয়ে আছে। তখন ডলারের বিনিময় হার কমবে এবং ধারণা করা যায়, তখন সোনার দাম আবার বাড়বে। গতকাল বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমলেও স্বল্প মেয়াদে সোনার মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স্বল্প মেয়াদে সোনার দাম দুই হাজার ৫৩২ ডলারে উঠতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে সোনার দাম আউন্সপ্রতি দুই হাজার ৫৮৫ ডলার থেকে দুই হাজার ৫৯৫ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচকের মূলভিত্তি হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিগত ভোগসূচক প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যদিও বেকারত্বের হার গত মাসে বৃদ্ধির কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি আছে। এই পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার কমানোর পথ আরো সুগম হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজার বিশ্লেষকরা এখন একরকম নিশ্চিত, আগামী মাসে নীতি সুদহার কমছে। সিএমই ফেডওয়াচটুলের এক জরিপে জানা গেছে, ৬৭ শতাংশ মানুষ মনে করছে নীতি সুদহার ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হবে। অন্যদিকে ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করে নীতি সুদহার ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হবে। গত জুলাই মাসে চীনের সোনা আমদানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে; গত মার্চ মাসের পর যা এই প্রথম বেড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সোনার ব্যবহার কেবল অলংকার তৈরির মধ্যে সীমিত নয়, বরং বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনা আরো গুরুত্বপূর্ণ। বন্ডের সুদহার কমলে বা শেয়ারসূচক নিম্নমুখী হলে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি আকৃষ্ট হন। ব্যাংকের সুদহার বাড়লে বা শেয়ারবাজার শক্তিশালী হলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনার কদর কমে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডে বিনিয়োগ করেছেন। সে কারণে তখন সোনার দাম কমেছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>