<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিঙ্গাপুরে ৩০০ কোটি ডলারের অর্থপাচার মামলায় প্রায় ১৮৫ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ সমর্পণ করেছেন ১৫ বিদেশি নাগরিক। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় অর্থপাচার মামলায় পলাতক এই আসামিরা পুলিশের কাছে এই সম্পদ সমর্পণ করেন। ফলে এই মামলায় সরকারের কাছে সমর্পণ করা সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াল প্রায় ২৮০ কোটি ডলার। এর আগে ১০ জন অর্থপাচারকারী সরকারের কাছে ৯৪৪ মিলিয়ন ডলার সমর্পণ করে। তারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান এবং পরে সিঙ্গাপুর থেকে বিতাড়িত হন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ১৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ১৭ জনের মধ্যে পলাতক থাকা ১৫ জন তাদের পাচারকৃত সম্পদ সমর্পণ করতে একমত হয়েছেন। তাদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে পুলিশ ওই ১৫ জনের নাম বলেছে। তারা হলেন সু ইয়ংক্যান, ওয়াং হুকিয়াং, সু ফুক্সিয়াং, সু বিনঘাই, ওয়াং বিনগ্যাং, সু সুইমিং, সু সুইজুন, কে ওয়েন্ডি, ওয়াং সুইটিং, চেন জিকিয়াং, লি জিয়ারং, চেন পিয়ং, ঝাও ডংগিং, চেন মুলিন এবং হু চেনজিমি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলাতক এসব আসামির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড ও ব্লু নোটিশ জারি রয়েছে। এ অবস্থায় তারা তাদের নিয়োগকৃত আইনজীবীর মাধ্যমে অ্যাটর্নি-জেনারেলের চেম্বারের (এজিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের সম্পদ সমর্পণ করতে রাজি হন। এর বিপরীতে তাদের বিরুদ্ধে করা ইন্টারপোলের রেড ও ব্লু নোটিশ তুলে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে এজিসির সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তাদের ১৪৪.৯ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ সরকারের হাতে জব্দ রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সিঙ্গাপুর। দেশটিতে অপরাধের হারও অনেক কম, ব্যবসার সুযোগ ও সম্ভাবনা অনেক বেশি। দেশটির নিম্ন করহারের নীতি একে বিশ্বের ধনীদের কাছে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থানে পরিণত করেছে। অভিযোগ রয়েছে, ধনীরা অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থপাচার করে সিঙ্গাপুরে আনেন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই অবস্থায় ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরের সরকার দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের অভিযান চালিয়েছে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচার করে যারা সিঙ্গাপুরে এনেছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হয়। ব্যাপক এই অভিযানে তখন ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারের সমপরিমাণ সম্পদ ও নগদ মুদ্রা জব্দ করেছে। বিভিন্ন বিলাসবহুল বাংলো এবং অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালানো হয়। এ বছরও অব্যাহত রয়েছে অভিযান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নানা উপায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পাচার করে সিঙ্গাপুরে আনা হয়। বিভিন্ন দামি জিনিসপত্রের আদান-প্রদানের মাধ্যমেও অর্থপাচার করে সিঙ্গাপুরে আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দামি চিত্রকর্ম ও নানা ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস। অনেক সময় অপরাধীরা বিভিন্ন শেল কম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে আসে এবং আসল পরিচয় গোপন করে লেনদেন করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার সরকারের বহুল আলোচিত ওয়ানএমবিডি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বেশ কিছু ব্যাংক জড়িত থাকার খবর আসে। সে সময় সিঙ্গাপুরের দিকে নজর দেন অনেকে। ওই ঘটনার পর অর্থপাচারের এই ঘটনাই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে বিশ্বজুড়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সিঙ্গাপুর একদিকে যেমন অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে, একই সঙ্গে অবৈধ অর্থের কেন্দ্র হয়ে ওঠার শঙ্কাও বেড়েছে। সূত্র : স্ট্রেইটস টাইমস, বিবিসি</span></span></span></span></p>