<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতে ব্যর্থতার গল্পটা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে বাংলাদেশের। দুই টেস্টের সিরিজে ভরাডুবির পর গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরনো গল্প সঙ্গী করে গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক অভিষেকে স্বাগতিকদের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে সাত উইকেটে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় পুরো ২০ ওভার না খেলেই। ১৯.৫ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ১২৭ রান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারত বাংলাদেশের এই লক্ষ্য ছাড়িয়ে যায় ৪৯ বল হাতে রেখেই। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। এই সময় দুই উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৭১ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগেরটি ছিল গত বছর হাংজুতে এশিয়ান গেমসে। সে ম্যাচে এক উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তুলেছিল ভারত। গতকাল ঝড়ের শুরুটা করেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। ২৫ রানের ছোট্ট জুটিতেই তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাটিং উইকেটে স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান জমাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। রানআউট হয়ে অভিষেক শর্মা ফেরার পর তিনে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে জাকের আলী অনিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি। অধিনায়কের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি ভাঙার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্যামসন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন ২৯ রান করে। ভারতের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন নিতীশ রেড্ডি ও হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার কাজটা ভালোভাবেই সম্পূর্ণ করে ভারত। ১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ডিয়া। নিতীশের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৬ রান।     </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে বাংলাদেশের সংগ্রহই এই ম্যাচের সব আকর্ষণ শুষে নিয়েছিল। সাকিব আল হাসানকে ছাড়া কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে নাজমুলদের পথ চলার শুরুতেও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ই। অবশ্য অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের ভূমিকায় যাঁর কাছে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার দাবি, সেই মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪ মাস পর এই সংস্করণে ফিরেই এক প্রান্ত আগলে রাখলেন। সে জন্যই সংগ্রটা ১৩০-এর কাছাকাছি গেল। ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারির মারে মিরাজের অপরাজিত ৩৫-ই দলীয় সর্বোচ্চ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিরাজের মতো পারভেজ হোসেনও খেলার সুযোগ পেলেন অনেক দিন পর। ঠিক এক বছর পর নেমে পান্ডিয়াকে ফ্লিক করে মারা ছক্কায় ভালো কিছুর ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই আর্শদীপ সিংয়ের বল স্টাম্পে টেনে নেন তিনি (৮)। অবশ্য অন্য ওপেনার লিটন কুমার দাস (৪) একই বোলারের বলে বিদায় নেন প্রথম ওভারেই। তাঁর মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন লিটন। কিন্তু পরের বলেই আবার হাঁকাতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার ধরা হচ্ছে যাঁকে, সেই তাওহীদ হৃদয় শুরু থেকেই ছিলেন অস্বস্তিতে। বরুণের প্রথম ওভারে ক্যাচ দিয়েও নীতিশ কুমারের সৌজন্যে বেঁচে যাওয়া শেষ পর্যন্ত একই বোলারকে তুলে মারতে গিয়ে দলের বিপদও বাড়িয়ে যান। ১২ রান করতে ততক্ষণে যে খেলে ফেলেছেন ১৮ বল। মায়াঙ্কের বলে সীমানায় ক্যাচ দেওয়া মাহমুদ উল্লাহর (১) অভিজ্ঞতাও অমূল্য হয়ে ওঠেনি এই ম্যাচে। অধিনায়ক নাজমুলও (২৫ বলে ২৭) ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর বাংলাদেশের ইনিংস এগোয় ঢিমেতালে, যা গোয়ালিয়রের ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে লড়াই করার জন্যও যথেষ্ট ছিল না। রান তাড়ায় ভারতীয় ব্যাটাররা তা আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিতে একদমই সময় নেননি।</span></span></span></span></p>