<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার এক বছর পূর্ণ হলো আজ ৭ অক্টোবর। দিবসটি সামনে রেখে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী হামলা বন্ধের দাবিতে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গত শনিবার  বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতির দাবি তোলেন। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত শনিবার রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে বিভীষিকাময় রাত পার করেছে বৈরুতবাসী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজার ২০৫ জন নিহত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।  হামাসের অস্তিত্ব মুছে ফেলার নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখের কাছাকাছি। ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলায় ধ্বংস, মৃত্যু আর ক্ষুধার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি। গাজায় হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েল এখন  হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে ধ্বংসের নামে লেবাননে রক্তাক্ত অভিযান চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইরানকেও গাজা ও লেবাননের মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। সব মিলিয়ে গাজা যুদ্ধের ক্যান্সার মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়ার হুমকির মুখে পড়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা  যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও সহায়তা দেওয়া বন্ধের দাবি জানান। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ ও উপস্থিত লোকেরা আগুন নেভানোর আগে তাঁর বাঁ হাতটি পুড়ে যায়। ইতালির রোমে একটি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও আতশবাজি ছোড়ে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জল কামান দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভে অন্তত একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং দুই বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। জার্মানির পুলিশ জানায়, বার্লিনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে সহস্রাধিক মানুষ সমবেত হয়।  যুক্তরাজ্যের লন্ডনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে  </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা বন্ধ কর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। লন্ডনের সমাবেশ থেকে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি  সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গত শনিবার রাতভর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাংশে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহরতলিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর বারবার কেঁপে ওঠে। বেশ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বিস্ফোরণের লাল-সাদা ঝলকানি দেখা যায়। বৈরুত সবচেয়ে বিভীষিকাময় রাত পার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া দক্ষিণ লেবানন অঞ্চলেও হামলা করা হয়েছে। লেবাননের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত শনিবার দেশজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈরুতের কেন্দ্রস্থলের দক্ষিণে দাহিয়া আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের টানা হামলার কারণে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে যেতে পারছেন না। তাই সেখানে কী পরিণতি ঘটেছে তার পরিষ্কার চিত্রও পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স</span></span></span></span></p>