<p>দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর তা আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন জারি নিয়ে নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে।</p> <p>দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হবে বলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জানিয়েছেন। </p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর তিনি বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।</p> <p>এর আগে, সামরিক আইন জারির পর সিউলে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। জাতীয় পরিষদ সিল করে দেওয়া হয় এবং সেনারা অল্প সময়ের জন্য ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় শত শত বিক্ষোভকারী বাইরে জড়ো হয় এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হয়। এই পরিস্থিতির মধ্যে রাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে এড়িয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে সক্ষম হন ১৯০ জন আইনপ্রণেতা। তারা সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি সামরিক আইন জারি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/03/1733237452-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি সামরিক আইন জারি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/03/1453489" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসিডেন্ট ইউন এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে জাতীয় পরিষদ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে এবং আমরা সামরিক আইন পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেছি।’</p> <p>তিনি আলো বলেন, ‘আমরা জাতীয় পরিষদের অনুরোধ মেনে নেব এবং মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে সামরিক আইন তুলে নেব।’ বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, ইউনের মন্ত্রিসভা আদেশ প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।</p> <p>উল্লেখ্য, কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলবার তার দেশে জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, পার্লামেন্টে বাজেট বিল নিয়ে চলমান টানাপড়েনের মধ্যে ‘কমিউনিস্ট শক্তি’ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।</p> <p>জাতির উদ্দেশে এদিন সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইওল বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি ও রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূল করতে উদার দক্ষিণ কোরিয়ার সুরক্ষার জন্য...আমি জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের জীবিকার তোয়াক্কা না করে, বিরোধী দল অভিশংসন, বিশেষ তদন্ত ও তাদের নেতাকে ন্যায়বিচার থেকে রক্ষার জন্য শাসনব্যবস্থাকে অচল করে দিয়েছে।’</p> <p>এরপর দেশটির রাষ্ট্রপতি নাটকীয়ভাবে সামরিক আইন প্রত্যাহার করার পরে আজ বুধবার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ভিড় উল্লাসের সঙ্গে ফেটে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য চাইলে সামরিক আইন অবশ্যই তুলে নিতে হবে।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>