<p>ককুরের কামড়কে অনেকেই সিরিয়াসলি নিতে চান না। কিন্তু এটা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এর ফলে আপনার শরীরে মারাত্মক র‌্যাবিস ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে শরীরে। র‌্যাবিসের সংক্রমণে হতে পারে প্রাণঘাতী জলাতাংক রোগ। তাই কুকুরে কামড়ানোর পর সঠিক ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। </p> <p><strong>করণীয়<br /> মৃদু কামড় বা আঁচড়</strong><br /> ত্বকের ওপর আঁচড় পড়লে বা রক্ত বের না হলে পরিষ্কার করে অ্যান্টিসেপটিক লাগান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।</p> <p><strong>গভীর কামড়</strong><br /> রক্তপাত হলে এবং গভীর ক্ষত তৈরি হলে দ্রুত ভ্যাকসিন ও ইমিউনোগ্লোবুলিন নিতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাছেরা কি ঘুমায়? বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/17/1734417957-5f35e41f226b511c1a2303c839b5cba1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাছেরা কি ঘুমায়? বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/17/1458379" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ক্ষতস্থান পরিষ্কার করুন</strong><br /> প্রথমেই যে স্থানে কুকুর কামড় দিয়েছে সেটি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অন্তত ১০-১৫ মিনিট ধরে সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে হবে। এরপর অ্যান্টিসেপটিক (জার্মনাশক) যেমন ডেটল, স্যাভলন বা আয়োডিন লাগিয়ে নিন।</p> <p><strong>রক্তপাত বন্ধ করুন</strong><br /> ক্ষতস্থান থেকে অতিরিক্ত রক্ত বের হলে হালকা চাপ দিয়ে রক্ত বন্ধ করুন। কিন্তু রক্ত পুরোপুরি বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না, কারণ রক্তের মাধ্যমে কিছু ভাইরাস বেরিয়ে যেতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্কিন ক্যান্সার কেন হয়? এর লক্ষণ ও প্রতিকার কী কী?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734345000-59aa235ebd97e78a23210c5a618e3633.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্কিন ক্যান্সার কেন হয়? এর লক্ষণ ও প্রতিকার কী কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458101" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>চিকিৎসকের পরামর্শ নিন</strong><br /> যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক ক্ষতস্থান দেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেবেন। যদি কুকুরটি অজানা বা বেওয়ারিশ হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে হবে।</p> <p><strong>কুকুরের অবস্থা জানার চেষ্টা করুন</strong><br /> কুকুরটি পোষা হলে বা পরিচিত হলে তার র‍্যাবিস ভ্যাকসিনের অবস্থা জেনে নিন। যদি কুকুরটি সুস্থ থাকে এবং ভ্যাকসিন নেয়া থাকে, তাহলে ঝুঁকি কম। যদি কুকুরটি অচেনা হয় এবং অসংলগ্ন আচরণ করে, এটি র‍্যাবিস আক্রান্ত হতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যমজদের ভেতর বাঁহাতি হওয়ার প্রবণতা বেশি কেন?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734338050-4a9ce85c122e8b6c633518f8012b4180.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যমজদের ভেতর বাঁহাতি হওয়ার প্রবণতা বেশি কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458068" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>মাথা, মুখ বা হাতের কামড়</strong><br /> এসব স্থানে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নিন।</p> <p><strong>র‍্যাবিস কেন ভয়ংকর</strong><br /> র‍্যাবিস ভাইরাস মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং একবার লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। লক্ষণগুলোর হলো—জ্বর, মাথাব্যথা, পানিতে ভয়, পেশিতে খিঁচুনি, অস্বাভাবিক আচরণ এবং অসংলগ্নতা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভ্রু ও হাত-পায়ের লোম বাড়ে না কেন?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734336505-b241da9913cc47a13520f344e699f661.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভ্রু ও হাত-পায়ের লোম বাড়ে না কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458064" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>প্রতিরোধের উপায়</strong></p> <ul> <li>পোষা কুকুরকে নিয়মিত র‍্যাবিস ভ্যাকসিন দিন।</li> <li>রাস্তার বা বেওয়ারিশ কুকুরের থেকে দূরে থাকুন।</li> <li>শিশুদের কুকুরের সঙ্গে সাবধানে খেলতে শেখান।</li> </ul> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফুসফুসে পানি জমলে কী করবেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/16/1734334438-d313920de74f75604d2d60fd26c58558.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফুসফুসে পানি জমলে কী করবেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/16/1458053" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> <strong>ভ্যাকসিন কতদিনের মধ্যে নেবেন</strong><br /> র‍্যাবিস ভাইরাসের সংক্রমণ খুবই বিপজ্জনক। তাই কুকুরে কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিতে হবে। কামড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম ডোজ নিতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p>চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ডোজগুলো নিন। সাধারণত ৫টি ডোজ দেয়া হয়। প্রথম ডোজ: কামড়ানোর দিন, দ্বিতীয় ডোজ ৩ দিন পর, তৃতীয় ডোজ ৭ দিন পর, চতুর্থ ডোজ ১৪ দিন পর এবং পঞ্চম ডোজ ২৮ দিন পর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গ্যাস বা অ্যাসিডিটি থেকে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/15/1734256527-dbdaee888ef69b18febfb6fb6a1f0ad0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গ্যাস বা অ্যাসিডিটি থেকে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/15/1457743" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আজকাল তিন ডোজের ভ্যাকসিনও পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক প্রথম ডোজের পর বাকি ডোজগুলো নিন।</p> <p>কুকুরে কামড়ালে ভয় পাবেন না। কিন্তু অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নিন। র‍্যাবিস একটি মারাত্মক রোগ হলেও সময়মতো ভ্যাকসিন নিলে পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব। আপনার সচেতনতাই আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারে।</p> <p>সূত্র: স্থিসনিয়ান ম্যাগাজিন<br />  </p>